ভিস্তাডোমের অমোঘ আকর্ষনে বাংলাদেশ থেকে ডুয়ার্সে ছুটে এলেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। আর পাঁচটা সাধারণ পর্যটকের সঙ্গেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট রেল ষ্টেশন থেকে ভিস্তাডোম কোচে চড়ে রাজাভাতখাওয়া পর্যন্ত এলেন বাংলাদেশের এই উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক।
ভিস্তাডোম কোচ নিয়ে শুধু ডুয়ার্সেই নয়,ডুয়ার্সের প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভূটান,নেপাল তিনটি দেশেই ব্যাপক আগ্রহ ছড়িয়েছে।
খবর পেয়েই অভিজ্ঞতা নিতে হাজির ডেপুটি হাইকমিশনার
সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ পর্যটকদের সাথে একটি দেশের এমন উচ্চপর্যায়ের কোন আধিকারিকের রেলে ভ্রমণের নজির নেই। বৃহস্পতিবারই চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই রেল আধিকারিকদের কাছে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনের কথা তিনি জানতে পারেন।
রাতে হলং বনবাংলোতে থাকবেন তিনি
সেই সুবাদেই বৃহস্পতিবার বিকেলেই তিনি চলে আসেন, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। রাতে হলং-বনবাংলোতে ছিলেন। সেখানে রাত কাটিয়ে শুক্রবার তৌফিক হাসান মাদারিহাট থেকে ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেনের ভিস্তাডোম কোচে চেপে বসেন। স্থানীয় সরকারি আধিকারিক,পর্যটনের সাথে জড়িত একটি মহল ছিল তার সাথে।
মাদারিহাট থেকে রাজাভাতখাওয়া অভিভূত বাংলাদেশি আমলা
মাদারিহাট থেকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া পর্যন্ত এসে অভিভূত হয়ে পড়েন তিনি। কখনও ঘন জঙ্গল, চা বাগান,পাহাড়ি নদী দেখে আপ্লুত বাংলাদেশ দূতাবাসের আধিকারিক। শুক্রবার জয়ন্তীর বনবাংলোতে রাত কাটিয়ে শনিবার বাংলাদেশ ফিরে যাবেন তিনি।
অক্টোবর পর্যন্ত সব ট্রেন বুকড
পর্যটনের কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত সপ্তাহে তিনদিন একটি ভিস্তাডোম কোচ সংযুক্ত ট্রেন চালানো শুরু করেছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল।ট্রেনটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।অক্টোবর মাস পর্যন্ত ভিস্তাডোম কোচের সব টিকিট বুকিং হয়ে গিয়েছে। ক্রমেই পর্যটকদের মধ্যে ভিস্তাডোমের আকর্ষণ বাড়ছে।
অভিভূত, জানালেন ওই আমলা
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ডুয়ার্স রুটে চালু করা হয়েছে ভিস্তাডোম কোচ লাগানো ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন।মাদারিহাট স্টেশন চত্ত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান "এই প্রথমবার আমার ডুয়ার্সে আসা।রাতভর জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি।তারপর ভিস্তাডোম কোচে চেপে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করবো। এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশেও যাতে ভিস্তাডোম কোচ চালু করা যায়, সেই বিষয়ে আমাদের দেশের সরকার ও রেল মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব রাখব।
বাংলাদেশেও ভিস্তাডোম চালু করতে চান
এছাড়াও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পর্যটনের উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হবে। আরও বেশি মাত্রায় বাংলাদেশের পর্যটকরা যাতে ডুয়ার্সে আসেন, সেই আহ্বানও জানাব। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডি আরএম দীলীপ কুমার সিং বলেন, এটা খুবই খুশির খবর আমাদের জন্য। পাশাপাশি আমরা এটাও বলছি ভিস্তাডোমে টিকিটের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। খুব দ্রুত আমরা আর একটি ভিস্তাডোম কোচ নতুন ট্রেনের সাথে জুড়ে দেব।