
Benefits Of Tulsi: উপকারী উপাদানে ভরপুর তুলসী পাতা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলি ইমিউন সিস্টেমের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন তুলসী পাতার চা পান করলে শুধু আমাদের ত্বকের উন্নতি ঘটে না, এগুলো বার্ধক্য প্রক্রিয়ার গতিও কমিয়ে দেয়। জানুন খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা জানাই।
শরীরে একাধিক উপকার
তুলসী পাতা আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই উপকারী এবং এটি দ্রুত মেটাবলিক সিস্টেম মেরামত করে। এছাড়াও তুলসী পাতা গ্যাস, অ্যাসিডিটি বা বিভিন্ন ধরনের হজমজনিত ব্যাধিতেও উপশম দেয়। তুলসী পাতায় শরীরকে ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা রয়েছে। এর উপকারী উপাদানগুলো শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে খুবই উপকারী।
তুলসী পাতাও মুখের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে দূর করতে পারে। এটি খাওয়ার পরে আপনি আপনার নিঃশ্বাসে সতেজ অনুভব করবেন। আপনি যদি ডায়রিয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে তুলসী পাতার চিকিৎসা আপনার উপকারে আসবে। জিরার সঙ্গে তুলসী পাতা পিষে নিন। এরপর দিনে ৩-৪ বার খান। এতে করে ডায়রিয়া বন্ধ হয়।
ওষুধের মতো কাজ করে
কাশি-সর্দির সমস্যা এখন খুবই সাধারণ বিষয়। অনেকেই এই রোগে ভুগে থাকেন মাঝে মধ্যে। এমন সমস্যায়ও তুলসী পাতা শরীরে স্বস্তি আনতে কাজ করে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়। মানসিক চাপের সমস্যাতেও তুলসি পাতা কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এর পাতায় উপস্থিত অ্যাডাপটোজেন মানসিক চাপ কমাতে উপকারী বলে মনে করা হয়। শরীরের কোনো স্থানে আঘাত লাগলে তুলসী পাতা মিশিয়ে লাগালে ক্ষত দ্রুত সেরে যায়। তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ক্ষতকে বাড়তে দেয় না। এ ছাড়া তুলসী পাতা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে জ্বালাপোড়া কমে। ত্বক সংক্রান্ত রোগে তুলসী বিশেষ উপকারী। এর ব্যবহারে নখ-ব্রণ দূর হয় এবং মুখ পরিষ্কার থাকে। অনেক গবেষণায় তুলসীর বীজ ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর বলেও বলা হয়েছে। যদিও তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।