শরীরে ওজন কমানো বা বাড়ানো যেতে পারে। ডায়েট করে শরীরকে মেদমুক্ত রাখেন অনেকে। কিন্তু শত চেষ্টায় বাড়ে না উচ্চতা। অনেকেই বলেন, উচ্চতা নির্ভর করে জিনের উপর। বিশেষ করে মা-বাবার উচ্চতার উপর নির্ভর করে উচ্চতা। অনেক মা-বাবাই চান সন্তানের উচ্চতা যেন বেশি হয়। সন্তানের উচ্চতা বাড়ানোর কত কী-ই না করেন অভিভাবকরা। পার্কে নিয়ে গিয়ে সন্তানকে ঝুলিয়ে দেন। কেউ কেউ গাছেও হাত ধরে ঝুলতে পরামর্শ দেন সন্তানকে। এটি কি উচ্চতা বাড়াতে পারে? না, এটা উচ্চতার বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়। দরকার সুষম আহার।
এটা ঠিক যে উচ্চতা বাড়ানোর জন্য। শারীরিক কসরত দরকার। এর মধ্যে ঝুলে থাকাও একটি ব্যায়াম। উচ্চতা বাড়াতে পাতেও রাখুন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। যে খাবারগুলি বাড়াতে পারে শিশুর উচ্চতা। ছোটবেলা থেকে খাওয়ানো শুরু করলে উপকার পাবেন। উচ্চতা বাড়বে।
মটরশুঁটি- শিশুরা মটরশুঁটি খেতে চায় না। কিন্তু মটরশুঁটি খেলে তাঁদের স্বাস্থ্যের উপকার। কারণ এতে প্রোটিন, ফাইবার এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে।মটরশুঁটি পুষ্টির অভাব পূরণ করে এবং উচ্চতাও বাড়ায়।
ড্রাই ফ্রুটস- যে কোনও ধরণের ড্রাই ফ্রুটস বাচ্চাদের দিন। তাদের স্বাস্থ্যের জন্ উপকারী। উচ্চতা বাড়াতে চাইলে ডায়েটে বাদাম ও আমন্ড অন্তর্ভুক্ত করুন। বাদামে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান হাড়ের শক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে উচ্চতা বাড়াতেও সহায়ক।
আরও পড়ুন- ইউরিক অ্যাসিড বাড়িয়ে দেয় এই ৪ খাবার, নিয়ন্ত্রণে রাখতে যা যা খাবেন
সবুজ শাকসবজি- খুব কম শিশুই আছে যারা সবুজ শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে। এই সবজিগুলি তাদের বৃদ্ধির জন্য দরকারি। শিশুদের বুঝিয়ে সবুজ শাক-সবজি খাওয়ান। এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বাড়বে তাদের উচ্চতাও।
দুধ বা দই- শিশুরা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ পান উপকার পাবে। দুধ পছন্দ না হলে দই-ও খেতে দিতে পারেন শিশুকে। এতে থাকে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এছাড়াও দইয়ে কিছু প্রোবায়োটিক রয়েছে যা শরীরের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুন- অ্যাসিডিটি থেকে গ্যাস- সস্তার ৮ আয়ুর্বেদ টোটকায় চিরতরে মুক্তি
ডিম- সন্তানের খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিম দেওয়া শুরু করুন। ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও বায়োটিন থাকে, এ ছাড়া ডিমে আয়রন এবং রিবোফ্লাভিনও থাকে। যা শিশুর বৃদ্ধির জন্য জরুরি।