শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরম কাপড়ের পাশাপাশি উপযুক্ত খাবারও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে ভাল গরম পোশাক খুব সহজেই কিনে নেওয়া যায়। কিন্তু শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে কী কী খাওয়া উচিত, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। সেক্ষেত্রে এখানে এমন কিছু ঘরোয়া খাবাররের বিষয়ে বলা হচ্ছে, যেগুলি শীতকালে শরীর গরম রাখবে। আর সেগুলি কিনতে খরচও বেশি পড়বে না।
গরম স্যুপ - শাকসবজি ও ডাল দিয়ে তৈরি স্যুপ শীতকালে ঠান্ডাকে মোকাবিল করতে বিশেষ কার্যকরী। স্যুপে দিব এক চিমটি নুন, গোলমরিচ, দারুচিনি এবং অন্যান্য মশলা। ফলে এটি খেতে সুস্বাদু হহবে এবং শরীরকেও গরম রাখবে।
আমিষ খাবার - আমিষ জাতীয় খাবার খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং শক্তিও পাওয়া যায়। আমিষ থেকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং প্রোটিন পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্যুপ বা অন্য কিছুর সঙ্গে আমিষ খাবার খেতে পারেন।
গরম পানীয় - চা-কফির মতো গরম পানীয় প্রায় সকলেই খান। আর ঠান্ডাকে কাবু করতে এই ধরনের গরম পানীয় সকলেরই পছন্দের। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর , চা, কফি, দুধ, স্যুপ বা কাড়া শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।
ঘি - এই জিনিসটি প্রায় সমস্ত থাবারেই ব্যবহার করা যায়। ঘি শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। রান্নায় ব্যবহার করার পাশাপাশি গরম ভাত বা রুটিতেও ঘি খেতে পারেন।
আদা - একটি সমীক্ষা অনুযায়ী কাশি এবং সর্দির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ হল আদা। এছাড়াও আদা রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে শরীরকে উষ্ণ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি চায়ে বা জলে ফুটিয়ে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি গলার ইনফেকশন থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পেতেও কাঁচা আদা ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রাই ফ্রুটস - শুকনো ফল হেলদি ফ্যাটের একটি ভাল উৎস এবং শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি করে। ড্রাই ফ্রুটস অল্প পরিমানে খেলেই শরীরে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। কিছু কিছু ড্রাই ফ্রুটস আছে, যা সমস্ত মরশুমের জন্যই ভাল। তবে শীতকালে বেশি উপকার পাবেন।
গুড় - দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্বাধিক ব্যবহৃত মিষ্টি হল গুড়। আয়রনে ভরপুর গুড় হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় এবং শরীরের তাপমাত্রা ধরে রাখে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও নিরাময় করে। তাই শীতকালে প্রতিদিন খাবার পর অল্প পরিমাণ গুড় খেতে পারেন।
তিল - তিলের হালুয়া, লাড্ডু বা অন্যান্য খাবারের মধ্যে দিয়ে খাওয়া হয়। এটি শরীরকে দুর্দান্তভাবে গরম রাখে। তিল শরীরে আয়রন ও ক্যালসিয়াম যোগান দেয়। এটি ঠান্ডাও লাগতে দেয় না।