শরীরের 'পাওয়ার হাউস' বলা হয় লিভারকে। ভিটামিন, খনিজ, কার্বোহাইড্রেটকে বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রোটিন, কলেস্টরল ও পিত্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যালকোহল, ওষুধ ও বিষাক্ত পদার্থ থেকে শরীরকে বাঁচায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জানাচ্ছেন, সুস্থ শরীরের জন্য লিভার ঠিক থাকা দরকার। তা করতে পারে ব্যালেন্স ডায়েট।
চা- চায়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কালো ও গ্রিন টি শরীরের লিভারের এনজাইম স্তরকে ঠিক রাখে। নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। গ্রিন টি লিভারের চর্বি কমায়।
টোফু- সয়া দিয়ে তৈরি হয় টোফু। লিভারের জন্য উপকারি। প্রোটিনের ভাল বিকল্প। সয়া ফুডের মধ্যে সয়াবিন দানা এবং সয়াবিন প্রাউটসও রয়েছে।
ফল- পরিমিত মাত্রায় ফল লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। আঙুর ও কমলা লেবু ফল খেতে পারেন। কমলা লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। তা লিভারে ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। আঙুরে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তা লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ওটস - ওটসে থাকে ভরপুর ফাইভার। লিভারের জন্য তা উপকারি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও রয়েছে ওটসে। লিভারের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে সুস্থ করে। রোধ করে ওই প্রক্রিয়াকেও। আনাজ ও দানাতেও থাকে ফাইবার।
কফি- নির্দিষ্ট মাত্রায় কফি শরীরকে ফায়দা দেয়। লিভারের নানা অসুখ দূর করে। গবেষণা বলছে, কফি খথেলে সিরোসিসের বিপদ কমে। কম মাত্রায় কফি লিভার ক্য়ানসারের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
সবজি- ডায়েটে সবুজ সবজি রাখুন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পুরনো রোগ সারতেও সাহায্য করে। ভাল হয় মানসিক স্বাস্থ্যও। পালংশাক, ফুলকপি, বাঁধা কপির মতো সবজি লিভারের জন্য ভাল। সবুজ সবজিতে থাকে গ্লুটাথিয়েন অ্যান্টিঅ্যাক্সিড্যান্ট। এতে লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
আরও পড়ুন- সুস্বাস্থ্যে রাখার পাশাপাশি, ওজন কমানোয় দারুণ উপকারী ওটস