scorecardresearch
 

Best Kochuri Shop In kolkata: শীতের সকালে ধোঁয়া ওঠা ফুলকো কচুরি খুঁজছেন? কলকাতার ৮ সেরা দোকানের হদিশ

কয়েকটা খাবারের প্রতি বাঙালিদের একটা মোহ আছে। তার মধ্যে রয়েছে কচুরি (Kochuri or kachori)। লুচি খানিক এগিয়ে থাকলেও কচুরির প্রতিও বাঙালিদের ভালবাসার কোনও কমতি নেই। সকালে ছোলার ডাল (Cholar Dal) বা আলুর তরকারি বা একটু ঘুঘনির সঙ্গে গরম গরম কচুরি, সব বাঙালিকেই টানে।

Advertisement
কলকাতার সেরা কচুরির দোকানে কলকাতার সেরা কচুরির দোকানে
হাইলাইটস
  • কচুরির প্রতি বাঙালিদের ভালবাসার কোনও কমতি নেই
  • বাঙালির আবার নিজস্ব প্রিয় কিছু কচুরির দোকান রয়েছে

কয়েকটা খাবারের প্রতি বাঙালিদের একটা মোহ আছে। তার মধ্যে রয়েছে কচুরি (Kochuri or kachori)। লুচি খানিক এগিয়ে থাকলেও কচুরির প্রতিও বাঙালিদের ভালবাসার কোনও কমতি নেই। সকালে ছোলার ডাল (Cholar Dal) বা আলুর তরকারি বা একটু ঘুঘনির সঙ্গে গরম গরম কচুরি, সব বাঙালিকেই টানে। প্রতিটি বাঙালির আবার নিজস্ব প্রিয় কিছু কচুরির দোকান রয়েছে। সেখানে সকাল হতেই ভিড় লেগে যায় কচুরি নেওয়ার। মাঝে মাঝে লম্বা লাইনও পড়ে। কচুরির প্রতি এই টানের কারণেই সম্ভবত কলকাতা শহরজুড়ে প্রচুর কচুরির দোকান পাওয়া যায়।

আগে মিষ্টির দোকানেই কচুরি পাওয়া যেত। তবে এখন মিষ্টির দোকান ছাড়িয়ে কচুরি স্ট্রিট ফুডের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে। কলকাতার সব মিষ্টির দোকানে কচুরি বিক্রি হয় না। কেউ কেউ আবার শুধুমাত্র রবিবার বিক্রি করে এবং কেউ প্রতিদিন। কিছু কচুরির দোকান আছে, যেগুলো সারাদিন শুধু কচুরিই বিক্রি করে। আপনি যদি কলকাতায় থাকেন এবং আশপাশে সেরা কয়েকটি কচুরির দোকানের সন্ধানে থাকেন, তাহলে আপনি এই আউটলেটগুলি মিস করতে পারবেন না।

মহারাজ (Maharaja): শরৎ বোস রোডে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে এই দোকানটির কচুরিও মুখে লেগে যাকে। এই দোকানের হিংয়ের কচুরি (Hing Er Kochuri) বিখ্যাত। সঙ্গে পাওয়া যায় আলুর তরকারি। এখানে কচুরি ছাড়াও জিলিপি, সিঙাড়া এবং চা পাওয়া যায়।

মহারানি (Maharani): মহারাজার উল্টো দিকের এই দোকান শহরের বহু কচুরিপ্রেমী বিলক্ষণ চেনেন। গরম গরম হিংয়ের কচুরির সঙ্গে আলুর দমের স্বাদ অতুলনীয় এখানে। কথিত আছে যে মহারাজা ও মহারানি একই পরিবার থেকে এসেছেন এবং তাঁরা রাস্তার দু'ধারে কচুরির দোকান খুলেছিলেন। তবে আজ দু’টি দোকানই রাস্তার এক পাশে অবস্থিত।

Advertisement

টেস্টি কর্নার (Tasty Corner): দক্ষিণ কলকাতা একডালিয়ায় অবস্থিত টেস্টি কর্নার নামে আরেকটি দোকান কচুরির জন্য বিখ্যাক। এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের স্কুলপড়ুয়াদের কাছে এই দোকানটি কচুরির স্বাদের জন্য প্রসিদ্ধ। এই দোকানে হিংয়ের ছাড়া অন্যান্য স্বাদ যেমন কড়াইশুটি, পনির এবং অন্যান্য স্বাদের কচুরি পাওয়া যায়।

শ্রী হরি মিষ্ঠান্ন ভান্ডার (Sri Hari Mistanna Bhandar): এই দোকানটি ভবানীপুর থানার বিপরীতে অবস্থিত। ১০৫ বছরেরও বেশি পুরনো কিংবদন্তি মিষ্টির দোকানটি কচুরির জন্য সর্বজন পরিচিত। এখানে গরম গরম কচুরির সঙ্গে ডাল দেওয়া হয়। উপরন্তু, শ্রী হরি তার ল্যাংচার জন্যও বিখ্যাত। এখানে বিভিন্ন আকারের ল্যাংচা পাওয়া যায়। তাই শেষপাতে কয়েকটি ল্যাংচাও পেটে পুরে দিতে পারেন এই দোকানে কচুরি খেতে এসে।

মোহন ভান্ডার (Mohan Bhandar): এই দোকানটি অবস্থিত এসএন ব্যানার্জী রোডে। এটি আশপাশের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাস্তাগুলির মধ্যে একটি। সেই কারণে মোহনের কয়েক হাজার কচুরি অল্প সময়ের মধ্যেই ভ্যানিশ হয়ে যায়। এখানে আলুর তরকারির সঙ্গে ফুলকো ফুলকো কচুরি পাওয়া যায়। সঙ্গে মেলে লঙ্কার চাটনি এবং আচার।

পুঁটিরাম (Putiram): এটি কলেজ স্ট্রিট এলাকার আরেকটি কিংবদন্তি দোকান, কচুরি এবং অন্যান্য মিষ্টির জন্য বিখ্যাত। এই দোকানের কচুরির স্বাদ ছাড়া কলকাতা অ-সম্পূর্ণ। সব চেয়ে ভাল দিক হল আপনি দিনের যে কোনও সময় এখানে একটি কচুরি পেতে পারেন। শুধু প্রাতঃরাশের জন্য আপনাকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত আসতে হবে না। এখানে আলুর তরকারি বা ছোলার ডালের সঙ্গে কচুরি পাওয়া যায়। কচুরি ব্যতীত এখানে রাধা বল্লবীও পেতে পারেন।

গীতিকা (Geetika): এই দোকানটি মানিকতলাতে অবস্থিত। এখানকার কচুরি আলুর তরকারির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। যদিও আলুর কিউবগুলিতে কিছু অবশিষ্ট খোসা থাকে। তরকারির স্বাদ বেশ অবাঙালি। তবুও এই কচুরির নাম আছে একটু ভিন্ন স্বাদের জন্য।

পটলার দোকান (Potlar Dokan): উত্তর কলকাতার বাগবাজার স্ট্রিটের এই দোকানটির নাম রোকার আড্ডার সারমর্মকে ধরে রাখে, মালিক বাঙালি ভদ্রলোক দিব্যেন্দু সেন। পটলার দোকান সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এখানে শালপাতার প্লেটে গরম গরম কচুরি পরিবেশন করা হয়। শুধু কচুরিই নয়, সন্ধ্যার দিকে এখানে এলে চেখে দেখতে পারেন হরেক রকম তেলেভাজাও। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী প্রায়ই আসেন এই দোকানের তেলেভাজা নিতে। এছাড়াও লেখক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের পছন্দ এই দোকানের চপ।

Advertisement