তীব্র দাবদাহের পরও গরমকালের একটা ভাল দিক হল, এই সময় আম খেতে পাওয়া যায়। তোতাপুরি, অ্যালফান্সো, ল্যাংড়া সহ একাধিক আম বাজারে উঠেছে। ফলের রাজা আম খেতে সকলেই পছন্দ করেন। এই সুস্বাদু সব আম খাওয়ার জন্য প্রত্যেক বছর গরমকালের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আম খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। আম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও ভীষণ গরমে বেশি আম খেলে পেটে সংক্রমণ হতে পারে। আমের মরশুম আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে আমকে ব্যবহার করে খাওয়া হয়ে থাকে। কেউ কেউ আম কেটে খেতে ভালবাসেন আবার কেউ কেউ মিল্ক শেক, পুডিং করেও খান।
ডায়াবেটিসে বেশি আম নয়
ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি আম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে মিষ্টি আম খাওয়ার আগে কিছু জিনিস মনে রাখা দরকার। মিষ্টি সুস্বাদু আম ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শরীরে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করেই আপনাকে আপনার পছন্দের ফল আম খেতে হবে। এছাড়া যাঁরা রোগা হতে চাইছেন বা ওজন কম করতে চাইছেন তাঁদেরও কম পরিমাণে আম খাওয়া দরকার। কারণ এতে প্রাকৃতিক মিষ্টির পরিমাণ অনেকটাই।
বাড়তে পারে ওজন
আমে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এটা বেশি পরিমাণে খেলে এই প্রাকৃতিক চিনির কারণেই আপনার ওজন বাড়তে পারে। সুতরাং যাঁরা ওজন কম করার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি আম খাওয়া একেবারেই উপকারী নয়। বেশি আম খেলে আপনার কোমরের ইঞ্চি বেড়ে যেতে পারে।
আমে রয়েছে রাসায়নিক
আমে উরুশিওল নামক রাসায়নিক আছে। যা মানুষের ত্বকের সমস্যাকে বাড়াতে পারে। যার কারণে বেশি করে আম খেলে ত্বকে চুলকানি, ত্বক থেকে চামড়া ওঠা এগুলি হতে পারে। অনেক বেশি আম খেলেও শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে। নাক দিয়ে জল পড়তে পারে, পেটেও ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অ্যানাফিল্যাকটিক শক
গবেষণা অনুযায়ী, আম যে কোনও ব্যক্তিকে অ্যানাফিল্যাকটিক শক দিতে পারে। এটা এক ধরনের অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া, যেটার চিকিৎসা তৎক্ষণাত না করলে বমি বমি ভাব, বমি, শক এবং অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে মানুষ।
পেট ফুলতে পারে
ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া হেলথ সিস্টেমের গবেষণা অনুসারে, আমে ফ্রুক্টোজ গ্লুকোজের চেয়ে বেশি, যা শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে যা ফ্রুক্টোজ শোষণ করা কঠিন করে তোলে। এই অবস্থার ফলে পেট ফোলা এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি কোনও বদহজমের সম্মুখীন হন তবে আপনাকে অতিরিক্ত আম খাওয়া বন্ধ করতে হবে।