Bhola Bhetki Fish: এই সামুদ্রিক মাছ খেলেই জব্দ ডায়াবেটিস, পাতে রাখুন রোজ

Bhola Bhetki Fish: মাছে-ভাতে বাঙালি। সপ্তাহের তিনদিন বাঙালি বাড়িতে মাছ হবে না তা কী করে হয়। সাধারণত বাড়িতে রুই, কাতলা, পাবদা, পার্শে, ট্যাংরা, ইলিশ এই মাছগুলোই বেশি আসে। অথচ এমন অনেক মাছ আছে, যেগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও তীব্র গন্ধের কারণে বাঙালি সেগুলি পাতে তোলে না।

Advertisement
এই সামুদ্রিক মাছ খেলেই জব্দ ডায়াবেটিস, পাতে রাখুন রোজভোলা ভেটকির গুণাগুণ
হাইলাইটস
  • সেরকমই এক অবহেলিত সামুদ্রিক মাছ হল ভোলা ভেটকি।

মাছে-ভাতে বাঙালি। সপ্তাহের তিনদিন বাঙালি বাড়িতে মাছ হবে না তা কী করে হয়। সাধারণত বাড়িতে রুই, কাতলা, পাবদা, পার্শে, ট্যাংরা, ইলিশ এই মাছগুলোই বেশি আসে। অথচ এমন অনেক মাছ আছে, যেগুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও তীব্র গন্ধের কারণে বাঙালি সেগুলি পাতে তোলে না। সেরকমই এক অবহেলিত সামুদ্রিক মাছ হল ভোলা ভেটকি। ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার ও লিভারের সমস্যা সারাতে কার্যকর। 

আজকের দিনে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও ঘরে ঘরে হার্টের সমস্যা। সদ্য এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই সমস্ত মোকাবিলায় এক্সপার্ট ‘ভোলা ভেটকি’ নামের সামুদ্রিক মাছ। ভারতের উপকূলবর্তী জলে জন্মানো এই মাছটি বাঙালি এড়িয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র তীব্র গন্ধের জন্য, কিন্তু এই মাছেই রয়েছে অসাধারণ ওষধিগুণ। গবেষণায় উঠে এসেছে ভোলা ভেটকির অসাধারণ ওষধি গুণের কথা। 

নিয়মিত ভোলা ভেটকি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে,যাঁরা সামুদ্রিক মাছ খান, তাঁদের মধ্যে গাঁটের ব্যথা ও ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা অনেক কম। উপকূলবর্তী অঞ্চলের ১২৪ জন মানুষের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায়, তাঁদের মধ্যে মাত্র তিন বা চারজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যেখানে মিষ্টি জলের মাছ খাওয়া মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশই ডায়াবেটিসে ভুগছেন। গবেষকদের বিশ্বাস, ভোলা ভেটকির যে সক্রিয় উপাদান রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, সেটিকে আলাদা করে ক্যাপসুল আকারে তৈরি করা গেলে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এক বড় সাফল্য আসতে পারে।

গবেষকেরা সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ভোলা ভেটকি, রুলি, তাপড়া আর মিষ্টি জলের বাটা, ফলুই এবং মৌরলা মাছ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষকদের দাবি, দেখা গিয়েছে, মিষ্টি জলের ছোট মাছেও প্রচুর পরিমাণ তেল রয়েছে, যা ডায়াবিটিস বাড়িয়ে দেয়। সামুদ্রিক মাছে কম পরিমাণে তেল থাকলেও ভোলা ভেটকি, রুলি এবং তাপড়ার তেলে মিলেছে অ্যান্টি–ডায়াবিটিক গুণ। বিশেষত, ভোলা ভেটকির মধ্যে যে ডোকোসাহেক্সেনয়িক অ্যাসিড এবং কিছু যৌগিক ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, তা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement