Air Conditioner Side Effect: এসির হাওয়ায় মাথা ব্যথা হয়? চোখ দিয়ে জল পড়ে? নিঃশ্বাসে অসুবিধা হয়? কিংবা গা-হাত-পা চুলকোয়? তাহলে আপনার এসিতে অ্যালার্জি রয়েছে। আর এই অ্যালার্জিকে উপেক্ষা করে যদি AC-তে আপনি বসে কাজ করেন, বা এসিতে যাপন করে চলেন, তাহলে সামনে ঘোর বিপদ রয়েছে।
ইদানীং তাপমাত্রা যেভাবে বাড়ছে, এ রাজ্যের দার্জিলিং পাহাড় ছাড়া বাকি সব জায়গাতেই এসির রমরমা। এমন কী পাহাড় লাগোয়া সমতলে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতেও গত কয়েক বছরে গরমকালে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে।বাড়ি, অফিস, গাড়ি সবকিছুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছলে মানুষ এসি ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে না।
কিন্তু জানেন কী এয়ার কন্ডিশনারের এই আসক্তি আমাদের শরীরে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলছে। প্রচণ্ড গরম ও ঘাম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ এয়ার কন্ডিশনার (এসি) আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। আর তাতেই এখন বিপদ
এই ৭ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া উপেক্ষা করবেন না
কিন্তু মানুষের এই চাহিদা এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। বাড়ি, অফিস, গাড়ি সবকিছুই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছচ্ছে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই। মানুষ এসি ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে না।
১) চোখ জ্বালা- এসিতে চোখ জ্বালা করে? হতে পারে আপনার চোখ এসির ঠাণ্ডা হাওয়া নিতে পারে না। এসিত থাকা বন্ধ করুন। আর কাজের খাতিরে যদি থাকতে হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২) অ্যাস্থমা এবং এলার্জি- অ্যাস্থমা এবং এলার্জি থাকলে এসি তাদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক। ভালোভাবে পরিষ্কার না করা হলে সেটি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করে।
৩) জ্বর- বেশিক্ষণ এসিতে থাকলে জ্বর হতে পারে। উপেক্ষা করবেন না। শরীরের ভিতরের অঙ্গ প্রত্য়ঙ্গ হয়তো এসির কৃত্রিম হাওয়া নিতে পারছে না। সুস্থ থাকতে হলে এসি উপেক্ষা করুন, নইলে বিপদ ঘটবে।
৪) গলা শুকিয়ে যাওয়া- এমনিতে এসিতে থাকলে তেমন জল পিপাসা পায় না। এটা স্বাভাবিক। ঠাণ্ডা পরিবেশে জলতেষ্টা কম হয়। কিন্তু শরীর ভিতরে ভিতরে ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। তাই কারও যদি গলা শুকিয়ে যায়, তার শরীরে বিভিন্ন খাদ্যগুণ কম থাকতে পারে। প্রচুর জল খান আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) মাথাব্যথা- যাঁরা ফিল্ড ও অফিস দুটি ডিউটিই করেন, তাদের এসি-তে মাথাব্যথা হতে পারে। বারবার এসিতে ঢোকা এবং বেরোনোর যদি কাজ থাকলে তাহলে তা মারাত্মক হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না মানলে অচিরেই বড় রোগের কারণ হতে পারে।
৬) নিঃশ্বাসের সমস্যা- নিঃশ্বাসের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাহলে বুঝতে হবে নাকের মিউকাস মেমব্রেন শুকিয়ে গিয়েছে। জল খেতে থাকলে অনেকটা সমস্য়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ বা ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭) অ্যালার্জি হতে পারে- এসিতে অনেকের অ্যালার্জি হয়। গা-হাত-পা চুলকোতে থাকে। ত্বক যাদের শুষ্ক, তাদের কাছে এসি মেশিন যমরাজের চেয়ে কম নয়। তাঁরা ভাল অয়েলি স্কিন ক্রিম মেখে এসিতে বসতে পারেন। তাতে অনেকটা সমস্যা কম হবে। তারপরও সমস্য়া না কমলে চিকিৎসক ছাড়া গতি নেই।
সবচেয়ে ভাল হয়, এসি একেবারেই বিদেয় করলে। নেহাৎ উপায় না থাকলে প্রত্যেকের নিজের শরীর অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এসিতে থাকা উচিৎ। নইলে দীর্ঘদিন এসি ব্যবহারে শরীর বড় রোগের দিকে ঝুঁকে যেতে পারে।