ডায়াবেটিস থাকলে ভাত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং স্টার্চ। সে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু বাঙালিদের ভাত ছাড়া চলে না। কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। রাতে না হয় ভাত ছাড়া গেল! কিন্তু দুপুরে ভাত না খাওয়ার কথা ভাবতেই পারে না আম বাঙালি। তাহলে উপায় কী? পুষ্টিবিদরা বলছেন,ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কালো চাল দুর্দান্ত বিকল্প।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কালো চালের ভাত খুবই উপকারী। একে বেগুনি বা নিষিদ্ধ চালও বলা হয়। এতে বিবিধ গুণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কালো চালে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো পুষ্টিগুণও মেলে কালো চালে। মূলত এজন্য এটি কালো বা বেগুনি দেখায়। অ্যান্থোসায়ানিন ডায়াবেটিস রোগীদের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়। প্রদাহের মোকাবিলা করে। ফাইবারের উপস্থিতির কারণে খাবার ধীরে ধীরে হজম হয়। ফলে রক্তে ধীরে ধীরে গ্লুকোজ মেশে। এছাড়াও এই চাল ওজন বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও কার্যকরী।
হৃদরোগে কার্যকর
ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য কালো চাল কোনও ওষুধের চেয়ে কম নয়! এতে রয়েছে অ্যানথ্রাসিন যা ধমনীতে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। প্রোটিনের পরিমাণও বেশি থাকে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। খিদে পায় না। সে কারণে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজনও।
কালো চালের উপকারিতা
- কালো চাল খেলে দূর হয় দুর্বলতা।
- স্মৃতিশক্তি সবল করে।
- অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় হার্ট সুস্থ রাখে। হার্ট অ্যাটাক এড়ানো যায়।
- ধমনীর ব্লকেজও কেটে যায়।
- কালো চালের ভাত খেলে শরীর ডিটক্স হয়। শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। কারণ এই চালে থাকে অ্য়ান্টিঅক্সিড্যান্ট।
আরও পড়ুন- কয়েক মিনিটেই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এই জুস, আরও নানা রোগের প্রতিকার