Beetroot in Diabetes: দিনে কতটা বিট খাবেন? এভাবে খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

Beetroot in Diabetes: বাজারে এখন বারোমাসই পাওয়া যায় বিটরুট। লাল রঙের এই সবজির কদর ইদানিং বেশ বেড়েছে বাঙালি হেঁশেলে। বিট-গাজরের তরকারি রুটি-পরোটা দিয়ে খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু সব সবজি সকলের জন্য নয়। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের সবজি খেতে হয় বাছাই করে।

Advertisement
দিনে কতটা বিট খাবেন? এভাবে খেলেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিসডায়াবেটিসে বিটরুট খাওয়া যায়?
হাইলাইটস
  • বাজারে এখন বারোমাসই পাওয়া যায় বিটরুট।

বাজারে এখন বারোমাসই পাওয়া যায় বিটরুট। লাল রঙের এই সবজির কদর ইদানিং বেশ বেড়েছে বাঙালি হেঁশেলে। বিট-গাজরের তরকারি রুটি-পরোটা দিয়ে খেতে মন্দ লাগে না। কিন্তু সব সবজি সকলের জন্য নয়। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের সবজি খেতে হয় বাছাই করে। অনেকেই মনে করেন যে সুগার থাকলে বিটরুট খেলে কোনও সমস্যা হয় না। সত্যিই কি তাই? নাকি বিটরুট খাওয়া উচিত নয় ডায়াবেটিসে। আসুন জেনে নেওয়া যাক। 

বিটের গুণ
ডায়েটিশিয়ানদের মতে, পুষ্টির খনি হল বিট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। এমনকী এই সবজির মিষ্টি স্বাদও অনেকের খুবই পছন্দের। তাই তো শীতের দিনে স্যালাড থেকে তরকারি- এই সবজি ব্যবহার করতেই পারেন। তাতেই মিটে যাবে পুষ্টির ঘাটতি।

বিটের পুষ্টি
বিট পুষ্টির ভান্ডার। টি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যেকোনও ঋতুতেই বিট খাওয়া যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিসে বিট খাওয়া নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। 

ডায়াবেটিসে বিট
বিট স্বাদে মিষ্টি, তাতে যদি সুগার লেভেল বেড়ে যায় সেই ভয়ে অনেক ডায়াবেটিস রোগী বিট খান না। বিটে নাইট্রেট রয়েছে, যা নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয় এবং রক্তনালীগুলি প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল। এ ছাড়া বিটে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম, অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিট খুবই উপকারী। বিটে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার ডায়াবেটিস রোগীদের ভাল গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ করে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়, যা ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক, ফলে রোগীর সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিট খাওয়ার সতর্কীকরণ
তবে খাওয়ার আগে বিট খেতে হবে। কারণ বিটে কিছু পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যদি এটি খাবারের সঙ্গে খান তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে খাবারের আগে বিট খেলে এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি জোগানোর কাজ করে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে মাত্র আধ কাপ বিট খেতে হবে, তার বেশি নয়।

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement