Bone Health: হাঁটতে বা বসার সময় হাড় ও জয়েন্টে ব্যথার সমস্যায় পড়তে হয় অনেককেই। এটি বোঝায় যে আপনার হাড় দুর্বল হয়ে গেছে। আপনি প্রায়শই বয়স্কদের জয়েন্ট এবং হাড়ের ব্যথার অভিযোগ শুনেছেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। কিন্তু এখন হাড়ের ব্যথার সমস্যা তরুণদের মধ্যেও দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে দৌড়াদৌড়ির জীবনে মানুষ তাঁদের খাবারের যত্ন নিতে পারছে না। ক্যালসিয়াম হাড়ের মজবুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড় ও জয়েন্টে ব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়। আজকাল বাজারে অনেক ধরনের সাপ্লিমেন্ট সহজে পাওয়া যায়, কিন্তু সাপ্লিমেন্টের চেয়ে এমন খাবার খাওয়া ভালো যা স্বাভাবিকভাবেই আপনার হাড়কে মজবুত করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?
আমাদের হাড় ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়। শরীরে নতুন হাড় তৈরি হলে পুরনো হাড় ভাঙতে শুরু করে। যখন আপনি অল্পবয়সী থাকেন, পুরানো হাড় ভেঙে গেলে খুব দ্রুত নতুন হাড় তৈরি হয়। এর সাথে হাড়ের ভরও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড়ের ভর বাড়ে কিন্তু আগের মত দ্রুত হয় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা শুরু হয়। অস্টিওপোরোসিস এমন একটি রোগ যাতে হাড় খুব দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই ভেঙে যায়।
তিল- তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত হয়।
মটরশুটি- মটরশুটি হাড়ের পাওয়ার হাউস হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার ডায়েটে কিডনি বিন, সয়াবিনের মতো জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই জিনিসগুলো ছাড়াও, এমন কিছু খাবার রয়েছে প্রতিদিন এটি খেলে আপনি হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। সেসব বিষয়ে জানুন এখানে-
আনারস- আনারসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা শরীরে উৎপন্ন অ্যাসিডের মাত্রাকে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রোধ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
পালং শাক- পালং শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি, যা হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়। প্রতিদিন রান্না করা পালং শাক খেলে আপনি আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারবেন। এছাড়াও পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
বাদাম- ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। বাদামে ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে।
কলা- কলাকে ম্যাগনেসিয়ামের সেরা উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই ভিটামিন হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার হাড়ও দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে প্রতিদিন একটি করে কলা খান।
পেঁপে- ১০০ গ্রাম পেঁপেতে ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। পেঁপে শুধু হজমের জন্যই উপকারী নয়, এটি হাড়ের জন্যও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই এটি অবশ্যই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে মনে রাখবেন এটি একবারে না খেয়ে অল্প পরিমাণে খান।