চালের বেশকিছু পুষ্ঠিগুণ থাকে যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে ধরা হয়। মাঝে মধ্যেই মানুষ এই বিষয়ে দোলাচলে থাকেন যে, সাদা চাল (White Rice) ও বাদামী চালের (Brown Rice) মধ্যে কোনটা বেশি ভাল। সত্যিই কি একটি অপরটির থেকে ভাল, নাকি এটা শুধুই ধারনা মাত্র। নিউট্রিশানিস্ট ভুবন রস্তোগী নিজের ইনস্টাগ্রামে বাদামী চাল সংক্রান্ত বেশকিছু তথ্য শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এটিকে সামিল করার উপকারিতার কথাও জনিয়েছেন তিনি।
ভুবন রস্তোগী জানান,'সমস্ত সাদা চাল পালিশ করার আগে বাদামীই থাকে। পালিশ ছাড়া যে চাল, সেটিকেই বাদামী চাল বলে বিক্রি করা হয়। বাদামী চাল একটি সম্পূর্ণ শস্য, কিন্তু সাদা চাল প্রক্রিয়াজাত। যখন চালকে পালিশ করা হয় তখন সেখান থেকে তুষ ও অঙ্কুরের অংশটি বা দেওয়া হয়। চালের অঙ্কুরিত অংশে প্রচুর পরিমান খনিজ এবং তুষে অনেকটাই ফাইবার থাকে। পালিশের পর সাদা চাল থেকে ভিটামিন, ফাইবার এবং খনিজ বের করে দেওয়া হয়।'
নিউট্রিশনিস্ট জানান, সাদা চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭০ শতাংশ এবং বাদামী চালে প্রায় ৫০ শতাংশ। এর অর্থ হল, সাদা চালের তুলনায় বাদামী চাল রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেশি বাড়ায় না, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি ভাল বিকল্প। কেউ কেউ শুধু সাদা চাল খেতে পছন্দ করেন। তবে তাতে শরীরে ফাইবারের প্রয়োজনীয় পরিমান পৌঁছায় না। পুষ্টিবিদের মতে, ডায়েটে এমন কোনও খাবার রাখা উচিত নয়, যাতে শুধুই ক্যালোরি বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, '১৯০০ দশকের প্রথম দিকে বেশি পরিমান সাদা চাল খাওয়ার জন্য বেরিবেরি রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। কারণ তাতে মানুষের দেহে ভিটামিন B1-এর ঘাটতি দেখা দেয়। বিশেষ করে যাঁরা মূলত ভাত খান তাঁদের ক্ষেত্রে এটি বেশি করে দেখা দেয়। সুতরাং সাদা চালের চেয়ে বাদামী চালকে প্রাধান্য দেওয়া হেল্থ ট্রেন্ড নয়, এটি একদিক থেকে আমাদের শিকড়ে ফিরে যাওয়ার উপায়, যেখানে আমরা কম প্রক্রিয়াজাত চাল খাই।'