পাটালি গুড়, ঝোলা গুড়শীতকাল মানেই গুড় খাওয়ার সময়ে। নলেন গুড়ের পায়েস-মোয়া হোক বা ঝোলা গুড় দিয়ে রুটি, সকলেরই পছন্দের। কিন্তু গুড় কি সুগারের রোগীরা খেতে পারেন?
ডায়েবেটিস এমন একটি লাইফস্টাইল রোগ, যাতে অনেক কিছু বারণ থাকে রোগীদের। চিনির উপর একটা নিষেধজ্ঞা থাকেই। এছাড়াও মিষ্টি খাদ্যও মানা থাকে। তবে চিনির বদলে কি শীতকালে গুড় খেতে পারবেন তারা? শীতকালর পড়তেই সকলের মনে এই প্রশ্ন।
ইনসুলিনের সমস্যার কারণে তৈরি হওয়া রোগ হল ডায়েবেটিস। ইনসুলিন হল শরীরে থাকা একটি হরমোন। এই হরমোন শরীরে কম নির্গত হলেই ডায়েবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই সমস্যায় ভোগা রোগীরা কি আদৌ গুড় খেতে পারবেন? শীতকালে ঝোলা গুড়, পাটালি গুড়, নলেন গুড়ের লোভ সামলে রাখা খুব মুশকিল। সেক্ষেত্রে ডায়েবেটিস রোগীদের জন্য চিকিৎসকদের কী পরামর্শ?
চিনি শরীরে হু হু করে বাড়িয়ে দেয় সুগার। অনেকেই ভাবেন, চিনি না খাওয়া গেলেও সুগারের রোগীদের গুড় চলবে। তবে গুড়ও ডায়েবেটিস রোগীদের জন্য ভাল নয়। গুড়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে বেশি। ফলে দ্রুত শরীরে বাড়ে সুগার। তাই এই খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে সুগার রোগীদের।
তবে গুড়ের মধ্যে বেশকিছু ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। তাই সাধারণ মানুষ অনায়াসে খেতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে হাই ক্যালোরি খাবার হওয়ায় গুড় বেশি খাওয়া ভাল নয়। তবে সুগারের রোগীরা যদি অল্প মাত্রায় ঝোলা গুড় বা পাটালি গুড় খেতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান।