ডায়াবেটিসে বীট খাওয়া যায়?বিটের গুণ নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিট নিয়ে নানান ধরনের ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। কেউ বিটের রস মাখছেন, কেউ আবার বিটের রসে চুমুক দিচ্ছেন। পুষ্টিগুণের দিক থেকে বিটের স্থান যে বেশ উপরের দিকে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিটের যখন এতগুণ, তখন তা সকলেই খেতে পারেন এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এই সবজি মিষ্টি, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আদৌও এই সবজি খেতে পারেন?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ফাইবার, নানা ধরনের খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে সমৃদ্ধ। তাই বিপাকহারের জন্য এই বিট বিশেষ উপকারী। এই সবজিটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি না (low-to-medium)। অর্থাৎ, আচমকা রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
সম্প্রতি এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, টাইপ ২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীরা যদি ১০০ গ্রাম করে বিট টানা ৮ সপ্তাহ অর্থাৎ, মাস দুয়েক খেতে পারেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রায় তফাত বুঝতে পারবেন। এই সবজিতে সলিউবল এবং ইনসলিউবাল, দু ধরনের ফাইবার রয়েছে। কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার পরিপাকে যা বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। এ ছাড়া রয়েছে ফোলেট, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ়, ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে গেলে হার্ট, স্নায়ু, কিডনি এবং চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। কিন্তু বিট খেলে সেই ভয় থাকে না। ফ্রি ব়্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই সব্জিটি।
তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, যাঁদের আগে থেকে কিডনির কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা বিট খাবেন না। কিডনিতে স্টোন জমার ইতিহাস থাকলেও এই সবজিটি খাওয়া উচিত নয়। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও বিট খেতে হবে বুঝে। তবে খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভালো।