
ডিম অনেকেরই খুব প্রিয়। ভারতীয়দের ঘরে ঘরে ব্রেকফাস্টে ডিম মাস্ট। পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। অনেকে ব্রেকফাস্টে ডিম খান। আবার কেউ দুপুর বা রাতের খাবারে ডিম রাখেন। অধিকাংশ বাঙালির তো ডিম ছাড়া একটা দিনও চলে না। কিন্তু রোজ রোড ডিম খাওয়া কতটা স্বাস্থ্যকর?
ডিম খেলে শরীরে কী হয়, তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে মানুষের মনে। পুষ্টিবিদদের একাংশের মতে, অত্যধিক ডিম খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া জরুরি। তাই তাঁরা ২টো ডিম খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা আরও বলছেন, ডিম খেলে সেদ্ধ করে খাওয়াই উচিত। ভাজা ডিম খাওয়া ঠিক নয়। রোজ ডিম খেলে পরিমাণ বুঝেই খাওয়া উচিত, মনে করেন তারা।
এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা দিনের শুরুটা ডিমের পোচ দিয়ে করলেন, দুপুরে ভাতের পাতে ডিম খাওয়া হল, আবার রাতে গিয়েও ডিম। একটি ডিম থেকে শক্তি মেলে ৭৮ ক্যালোরি। এতে প্রোটিন থাকে ৬.৩ গ্রাম, ফ্যাট ৫.৩ গ্রাম। এ ছাড়াও এতে মেলে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, ফসফরাস, সেলিনিয়াম-সহ একাধিক খনিজ। ডিমকে তাই সস্তায় পুষ্টিকর বলা চলে। পুষ্টিগুণের জন্যই ডিমের কদর। তার উপর মাছ, মাংসের তুলনায় তা সস্তাও। সেই কারণে, প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। ডিমের কুসুমে থাকা কোলিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং লিভার থেকে চর্বি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিম দৃষ্টিশক্তি উন্নত এবং হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী HDL বা ভালো কোলেস্টেরল সরবরাহ করে। কীভাবে ডিম খেতে হবে, তাও গুরুত্বপূর্ণ। ডিম সেদ্ধ করে খেলে এটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। তবে অমলেট বা স্ক্র্যাম্বলড ডিম তৈরির সময় তেল বা মাখন ব্যবহার করলে ক্যালোরি বৃদ্ধি পায়, যা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে।
কিন্তু একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রামের কোলেস্টেরল মেলে। ফলত যাঁদের ওজন বেশি, হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য দিনে তিনটি ডিম খাওয়া মোটেও ঠিক নয়।