Chanakya Niti For Happy Marriage: সুখী দাম্পত্য চাইলে বিয়ের পর এই ৪ ভুল নয়, যা বলছেন চাণক্য

অত্যাচারী ধন নন্দের পতন ঘটিয়ে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যতে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন আচার্য চাণক্য। এই চাণক্য হলেন ভারতের শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ ও পণ্ডিত। জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি লিখে গিয়েছেন নীতিকথা। যে নীতিকথা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

Advertisement
সুখী দাম্পত্য চাইলে বিয়ের পর এই ৪ ভুল নয়, যা বলছেন চাণক্য chanakya niti
হাইলাইটস
  • চাণক্য হলেন ভারতের শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ ও পণ্ডিত।
  • জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি লিখে গিয়েছেন নীতিকথা।

বিবাহ জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়। যেখান থেকে জীবন বদলে যায়। বিয়ে মানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুখী গৃহকোণ। বিয়ে মানে দায়িত্বও। বিয়ের পর নারীদের আচরণে কয়েকটি পরিবর্তন আনা জরুরি। সেই পরিবর্তনগুলি বিবাহিত জীবনকে সুখী করে তোলে। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক জমাট বাঁধবে তখনই যখন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে চলবেন। এখন চলছে বিয়ের মরসুম। তাই দম্পতিদের জানতেই হবে, কীভাবে বিবাহ জীবনকে সুখের করে তুলবেন। কী কী নিয়ম মেনে চলবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক, আচার্য চাণক্য কী বলছেন- 

অত্যাচারী ধন নন্দের পতন ঘটিয়ে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যতে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন আচার্য চাণক্য। এই চাণক্য হলেন ভারতের শ্রেষ্ঠ কূটনীতিবিদ ও পণ্ডিত। জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি লিখে গিয়েছেন নীতিকথা। যে নীতিকথা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তেমনই সুখী দাম্পত্য নিয়ে নীতিকথা লিখে গিয়েছেন চাণক্য। কী বলেছেন তিনি, চলুন জেনে নেওয়া যাক-   

গোপন কথা- আচার্য চাণক্য বলেছেন যে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিপূরক। তবে দু'জনকেই কিছু কথা ভুল করেও পরস্পরের সামনে বলা উচিত নয়। এতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়। আপনি যদি আপনার বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চান, তাহলে অবশ্যই আচার্য চাণক্যের এই কথাগুলি গ্রহণ করুন। কখনও শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে কটূ কথা বলবেন না। বরং প্রশংসা করুন। 

নারীদের কখনও স্বামীর সামনে তাঁদের শ্বশুরবাড়ির লোকদের সম্পর্কে খারাপ কথা বলা উচিত নয়। এ ছাড়া বাপের বাড়ির গোপন কথা প্রকাশ করা উচিত নয়। এমনকি ভুল করেও স্বামীর সঙ্গ এমন কিছু শেয়ার করা উচিত নয়, যা দুই পরিবারের মধ্যে কোনও ধরনের ফাটল সৃষ্টি করতে পারে। এ কথা সমানভাবে প্রযোজ্য পুরুষদের ক্ষেত্রেও। কখনও নিজের মা-বাবার গোপন কথা, পরিবারের কথা স্ত্রীকে বলবেন না। ভবিষ্যতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।

আয়ের অংশ সঞ্চয় করুন- চাণক্য নীতি বলে যে একজন দম্পতির সবসময় নিজের উপার্জনের কিছু অংশ সঞ্চয় করা উচিত। এই অর্থ পরিবারকে কঠিন সময়ে কাজে দেয়। বিয়ের পর সঞ্চয়ে জোর দিন। আগেকার দিনে স্ত্রীরা স্বামীর আয়ের একটা অংশ সঞ্চয় করতেন। এখন তো মেয়েরাও চাকরি করেন। ফলে সেটার দরকার পড়ে না। তাই সঞ্চয় দুজনেরই করা উচিত। 

Advertisement

অন্য পুরুষ বা নারীর সঙ্গে তুলনা নয়- কখনও নিজের পার্টনারের সঙ্গে অন্য পুরুষ বা নারীর তুলনা করবেন না। এতে স্বামীর বা স্ত্রীর আত্মসম্মানে লাগতে পারে। দাম্পত্য জীবনে তৈরি হয় সমস্যা। 

রাগ নিয়ন্ত্রণ- চাণক্য নীতি অনুসারে, স্বামী এবং স্ত্রীর সবসময় পরস্পরের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করা উচিত। যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে তাঁর দাম্পত্য জীবন সফল হয়। স্বামী বা স্ত্রী নিজেদের আবেগের উপরে নিয়ন্ত্রণ করুন। কারণ রাগের মাথায় লোকে নানা কথা বলে দেয়, যা সমস্যা তৈরি করে। তাই কখনও রাগবেন না। রাগ হলে সেই সময় চুপ করে থাকুন। কোনও কথা বলবেন না। পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করে নিন। 

POST A COMMENT
Advertisement