আচার্য চাণক্য বিশ্বের মহান পণ্ডিত, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিক। নিজের নীতিশাস্ত্র, চাণক্য নীতিতে অর্থ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন চাণক্য। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে অনেক সময় একজন মানুষ জেনে-বুঝে এমন ভুল করে থাকেন যে কারণে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হয়ে ঘর ছেড়ে চলে যান। মানুষের অজান্তেই দিনে দিনে নিঃস্ব হতে থাকেন। কঠোর পরিশ্রম করেও সম্পদের অভাব থেকে যায়। লক্ষ্মীর পরিবর্তে, তাঁর বোন অলক্ষ্মী বাড়িতে থাকতে শুরু করে। যা ব্যক্তিকে দরিদ্র করে তোলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন ঘরে দেবী লক্ষ্মী কখনও থাকেন না-
অতিরিক্ত খরচ- যে সব বাড়িতে মানুষ অপ্রয়োজনীয় জিনিসে টাকা খরচ করে তাঁরা কোনওদিন লক্ষ্মীর কৃপা পান না। সেই সব বাড়িতে ধনসম্পদ থাকে না। এই ধরনের ব্যক্তিরা যতই অর্থ উপার্জন করুন না কেন, তাঁরা কখনও আর্থিক উন্নতি করতে পারেন না। কঠিন সময়ের জন্য সঞ্চয় করতে অক্ষম হন। সঠিক জায়গায় অর্থব্যয় না করলে জীবনে দুঃখের শেষ থাকে না। খরুচে ব্যক্তিরা যে কোনও সময় বিপদে পড়তে পারেন। তাঁরা আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে পারেন।
রান্নাঘরে এঁটো বাসন- মা লক্ষ্মী কখনও এমন বাড়িতে থাকেন না যেখানে নোংরা থাকে। রাতে অনেতে রান্নাঘরে এঁটো বাসন রেখে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হন অন্নপূর্ণা। রান্নাঘর পরিষ্কার না রাখলেও রেগে যান দেবী লক্ষ্মী। বাড়িতে দারিদ্র্য বিরাজ করে। বাড়ির লোকেরা সম্মান পান না। অর্থের ক্ষতি হয়।
সন্ধ্যায় ঝাঁট দেওয়া- সূর্যাস্তের পরে যে বাড়িতে ঝাঁট দেওয়া হয় সেখানে দেবী লক্ষ্মী কখনও প্রবেশ করেন না। সন্ধ্যার সময় হল দেবী লক্ষ্মীর আগমনের সময়, তাই দিনের বেলাতেই ঘর পরিষ্কার করা উচিত। যদি কোনও কারণে সন্ধ্যায় ঘর ঝাঁট দিতে হয়, তাহলে জমে থাকা আবর্জনা সঙ্গে সঙ্গে বের করবেন না। বরং পরদিন সকালেই বাড়ি থেকে বাইরে ফেলুন।
অলস ব্যক্তি- যাঁরা অলস, জ্ঞানী ও নারীদের সম্মান করে না তাঁদের প্রতি মা লক্ষ্মী সবসময়ই ক্রুদ্ধ থাকেন। এ কারণে এসব মানুষ ধনী হলেও গরিব হতে সময় লাগে না। অলস ব্যক্তি কখনও কোনও কাজে সাফল্য পান না। তিনি সবসময় থাকেন দুঃখী। ব্যর্থতা সঙ্গী হয় তাঁদের।