গোটা বিশ্বে প্রাচীনতম সংস্কৃতির অন্যতম দেশ ভারত। এ দেশে নানা মুনিঋষিদের আগমন ঘটেছে। তার মধ্যে অন্য়তম চাণক্য। অর্থশাস্ত্র ও কূটনীতিতে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যের কথা সকলেরই জানা। কিন্তু চাণক্যর জীবনবোধ ও জীবনচর্চাও শিক্ষনীয়। জীবনের নানা ধাপের সমস্যার প্রতিকার দিয়ে গিয়েছেন চাণক্য। যা মেনে চললে জীবনে কোনও সমস্যা থাকবে না। তেমনই জীবনসঙ্গিনী বাছার ক্ষেত্রেও কয়েকটি অমূল্য পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন চাণক্য। যা মানলে জীবনে কোনও সমস্যা থাকে না।
জীবনসঙ্গিনী বাছার ক্ষেত্রে বর্তমানে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। ঠিক কেমন হবে জীবনসঙ্গিনী, কার সঙ্গে সুখে থাকা যাবে, এসব নিয়ে বহু আগেই লিখে গিয়েছেন চাণক্য। তাঁর নীতিশাস্ত্রে রয়েছে আদর্শ স্ত্রীর কথা। কথাতেই আছে, সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, সৌভাগ্যবতী স্ত্রী পেলে স্বামীও উন্নতি করেন। এই ধরনের নারী শ্বশুরবাড়িকে স্বর্গ করে তোলেন। আচার্য চাণক্য একটি শ্লোকে এ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন, তা হল-
ভারয়েত কুলজন প্রজ্ঞা বিরূপমপি কন্যাকম্।
রূপশীলন ন নিচস্য বিবাহঃ সদরে কুলে।
সঙ্গীর শরীর নয়, গুণ- অনেকেই জীবনসঙ্গীনি নির্বাচনের সময় দেখেন, মেয়েটি কেমন দেখতে, শারীরিক গঠন দেখেও প্রেমে পড়েন। চাণক্য কিন্তু শরীরের মোহে পড়তে না বলে গিয়েছেন। চাণক্য নীতির এই শ্লোকটিতে বলা হয়েছে যে বিয়ের আগে সঙ্গীনি নির্বাচন করার সময় একজন পুরুষের কখনও নারীর শরীরের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয়। সেই নারীকে কেমন দেখতে তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত তাঁর গুণকে। কারণ গুণই চিরকাল থেকে যায়। শুধু সুন্দরী মহিলাদের পিছনে দৌড়ানো উচিত নয়। স্ত্রী যদি গুণবতী হন বিপদের সময় আপনার পাশে দাঁড়াবে। গুণের কখনও ইতি ঘটে না। সৌন্দর্য যৌবন ফুরোলেই শেষ হয়।
আরও পড়ুন- গরমে সুগার বাড়ে-কমে বেশি, সুস্থ থাকতে ৫ ভুল এড়ান
মনের সৌন্দর্য দেখা- নারীর শারীরিক গঠন দেখে নয় বরং তাঁর মন দেখা উচিত। তিনি বড় ও ছোটদের প্রতি কেমন আচরণ করেন সেটা দেখে নেওয়া উচিত। তিনি অহংকারী কিনা সেটাও দেখা দরকার। সেই সঙ্গে মহিলার ধৈর্য্যও দেখে নেওয়া উচিত। সবসময় সুন্দর মনের জীবনসঙ্গিনীর সঙ্গেই জীবন কাটানো উচিত।
কথায় কথায় রাগ- যে মহিলা কথায় কথায় রেগে যান তাঁর সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। আচার্য চাণক্য বলেছেন যে এমন মহিলার থেকে সবসময় দূরে থাকা উচিত যে বারবার রেগে যায়। রাগী মহিলা কখনও পরিবারকে সুখী রাখতে পারে না। ধৈর্যশীল মহিলা বেছে নিন। ধর্মকর্মে বিশ্বাসী নারী সবসময় সংযত থাকেন।
অনিচ্ছায় বিয়ে- আচার্যের নীতি অনুসারে, এমন মহিলাকে কখনও বিয়ে করা উচিত নয় যে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করছে না। সে আপনাকে কখনও সম্মান করবে না।