আচার্য চাণক্য নীতি শাস্ত্রে অনেক শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর প্রদত্ত শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক এবং অর্থবহ। আচার্য চাণক্য নীতি শাস্ত্রে জীবনের প্রায় প্রতিটি দিক স্পর্শ করেছেন। তিনি নীতি শাস্ত্রে বাবা-মা কেমন হওয়া উচিত এবং তাঁদের সন্তানদের কী কী জিনিস দেওয়া উচিত তাও বলেছেন। চাণক্যের মতে, এমন কিছু জিনিস আছে যা যদি বাবা-মা তাদের সন্তানদের না দেন, তাহলে তাঁরা সন্তানের শত্রুর চেয়ে কম নয়। আসুন জেনে নিই এই বিষয়গুলি সম্পর্কে।
যেসব বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের শিক্ষিত করেন না
আচার্য চাণক্য নীতি শাস্ত্রে বলেছেন যে, যদি একজন বাবা-মা সন্তানকে সঠিক শিক্ষা না দেন, তাহলে তিনি সন্তানের শত্রু। একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি সর্বদা সমাজে ঘৃণার চোখে দেখেন এবং শিক্ষিতদের মধ্যে তার কোনও স্থান নেই। আচার্য চাণক্য একজন নিরক্ষর ব্যক্তিকে রাজহাঁসের মধ্যে একটি বগলা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাই, প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত তাঁদের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া, যাতে তাঁরা সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে।
সত্য এবং নম্রতা
বাবা-মায়েদের উচিত শৈশব থেকেই সন্তানদের সত্য এবং নম্রতার শিক্ষা দেওয়া। আচার্য চাণক্য বলেন যে, এগুলোই হল সেইসব জিনিস যার বীজ বপন করা হয় শৈশব থেকেই। তাই, প্রতিটি বাবা-মায়ের উচিত তাঁদের সন্তানকে সত্য এবং নম্রতা শেখানো। যদি কারো মধ্যে সত্য এবং নম্রতা না থাকে, তাহলে সে সমাজের উপকার করে না বরং সমাজের ক্ষতি করে।
সকলকে সম্মান করা
বাবা-মায়ের দায়িত্ব হল সন্তানদের সকলকে সম্মান করতে শেখানো। যে বাবা-মা তাদের সন্তানদের এই গুণাবলী দেন না, তাঁরা সমাজের অন্যদের দোষ খুঁজে বের করার জন্য কাজ করেন এবং এতে অন্যদের নয় বরং তাঁদের নিজস্ব সুনামের ক্ষতি হয়। যে ব্যক্তি অন্যদের সম্মান করেন না, সে কেবল তাঁর নামই নষ্ট করেন না, বরং তাঁর পরিবারের নামও নষ্ট করেন।
অলস হবেন না
অলসতাকে একজন ব্যক্তির শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই, বাবা-মায়ের উচিত তাঁদের সন্তানকে অলসতা থেকে দূরে রাখা। আচার্য চাণক্য বলেন যে, সন্তানকে অলসতা থেকে দূরে রাখতে, বাবা-মায়ের উচিত তাঁর সামনে সক্রিয় থাকা, কারণ শিশু কেবল তাই শেখে যা সে দেখে।