১৫ অগাস্ট সারা দেশে ব্যাঙ্ক, স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি বন্ধ থাকবে। এবার ১৫ অগাস্ট পড়েছে শুক্রবার। এরপর শনি ও রবিবার। অর্থাৎ তিনদিনের লম্বা ছুটি পাওয়া যাবে। এই লং উইকেন্ডকে কাজে লাগিয়ে বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই ছোট্ট কোনও ট্রিপে। খরচও হবে সাধ্যের মধ্যে। এর জন্য অফিস করে বৃহস্পতিবার রাতটি কাজে লাগিয়ে ওই রাতেই বেড়িয়ে পড়ুন। কিন্তু যাবেন কোথায়?
কলকাতার কাছেই আছে 'মিনি তিব্বত' মৈনপাট। অনেকে একে ছত্তিশগঢ়ের 'মিনি সিমলা'-ও বলেন। বর্ষায় এই জায়গার আকর্ষণ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ঝর্না, পাহাড়, জঙ্গল ও সবুজে ঘেরা প্রকৃতির সৌন্দর্য নজর কাড়বে। এটি 'মিনি সিমলা' নামেও পরিচিত।
যদি এই ছুটিটা কাজে লাগিয়ে ছত্তিশগঢ়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে মেইনপাটের এই জায়গাটি অবশ্যই ঘুরে দেখুন। কলকাতা থেকে কীভাবে যাবেন, কী কী দেখবেন? খরচ কত? বিস্তারিত জানুন।
প্রকৃতির কোলে মৈনপাট উঁচু পাহাড় এবং ঘন জঙ্গল দ্বারা বেষ্টিত। এই কারণেই গ্রীষ্মকালেও এখানকার আবহাওয়া মনোরম থাকে। বর্ষায় এই জায়গাটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। জুন, জুলাই, অগাস্ট মাস এখানে ঘোরার সেরা সময়।
বিখ্যাত বৌদ্ধ মন্দির
এখানকার বিখ্যাত 'বৌদ্ধ মন্দির' ১৯৬২ সালে তিব্বতি শরণার্থীরা এখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন। তাই, তিব্বতি জনগণের জীবনযাত্রা এবং বৌদ্ধ মন্দির এখানকার আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। এই কারণে, এই স্থানটিকে 'ছত্তিশগঢ়ের তিব্বত' নামেও পরিচিত।
মৈনপাটে গেলে আর কী কী দেখবেন?
মৈনপাট গেলে সারাভঞ্জা জলপ্রপাত, উল্টা পানি, যেখানে উল্টো দিকে বয়ে যায় জলের ধারা, এলিফ্যান্ট পয়েন্ট, মেহতা পয়েন্ট, দলদলি, মছলি পয়েন্ট দেখতে পারেন। এমনকি পাহাড়ে গাড়িও নীচ থেকে ওপরের দিকে চলে যায়। খুব রহস্যময় একটি জায়গা।
কোথায় থাকবেন?
এখানে রয়েছে একাধিক তিব্বতি রিসর্ট। অল্প খরচে থাকা, খাওয়ার অসাধারণ কিছু জায়গা রয়েছে এখানে। থাকাখাওয়া খরচ জনা প্রতি ১৫০০ টাকা করে পড়বে।
মৈনপাট কীভাবে পৌঁছবেন?
হাওড়া থেকে সম্বলপুরী এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যান ঝাসুগুড়া জংশন। সেখান থেকে গাড়িতে মৈনপাট। জায়াগাটি অম্বিকাপুর/সুরগুজা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অম্বিকাপুর-সীতাপুর রোড এবং দারিমা গ্রাম হয়েও মৈনপাট পৌঁছতে পারেন। এছাড়াও, যদি দারিমা বিমানবন্দর হয়ে মৈনপাট যান, তাহলে পথে পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।