চিকেন বনাম মাছভারতীয়দের ডায়েটে প্রোটিনের জন্য অনেক খাবারই মজুত রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ, যাঁরা আমিষ খান, তাঁরা মাছ এবং চিকেন খেয়ে থাকেন। এই দুই আমিষ খাবারেই রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা পেশি শক্তিকে মজবুত করতে সহায়তা করে এবং ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে। অনেকেই এই বিভ্রান্তিতে থাকেন যে তাঁরা মাছ খাবেন নাকি চিকেন। প্রোটিনের জন্য কোনটা ভাল, তা জানার জন্য মাছ ও চিকেন এই দুইয়ের পুষ্টি সম্পর্কে জেনে নিন।
মাছ বনাম চিকেন
-মাছের তুলনায় চিকেনে একটু বেশি মাত্রায় প্রোটিন থাকে। গড়ে ১০০ গ্রাম রান্না করা চিকেন ব্রেস্টের মাংসে প্রায় ৩১ গ্রাম প্রোটিন থাকে আর রান্না করা মাছে (স্যামন, রুই, টুনা, পমফ্রেট ইত্যাদি) ২২-২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। অতএব, চিকেনে মোট প্রোটিনের পরিমাণ মাছের তুলনায় বেশি।
-অপরদিকে, মাছ একটি উ্নত মানের প্রোটিন। যদিও চিকেনে বেশি প্রোটিন থাকে, তবে চিকেনের তুলনায় মাছের প্রোটিন জৈব উপলভ্য বেশি। এর অর্থ হল আপনার শরীর মাছের প্রোটিন আরও কার্যকরভাবে শোষণ ও হজম করে।
-মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যেখানে মুরগিতে থাকে না, যা এর সবচেয়ে বড় সুবিধা। ওমেগা-৩ প্রদাহ কমায়, হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ত্বক ও জয়েন্টের উপকার করে।
-চিকেন ব্রেস্টে কোনও চর্বি থাকে না, তাই এটি কেবল প্রোটিন সরবরাহ করে এবং এটি বাজেট-বান্ধব। এটি রান্না করা সহজ এবং ওজন কমাতে এবং পেশী বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। মুরগি রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে, অন্যদিকে মাছ রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এই কারণে, চিকেন নানান উপায়ে রান্না করে খাওয়া যায়।
মাছ খাবেন না চিকেন
যদি আপনি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত, সস্তা, চর্বিহীন মাংস এবং তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় এমন খাবার খুজছেন, তাহলে চিকেন খেতেই পারেন। আর যদি আপনি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, সহজে হজমযোগ্য, কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত এবং আরও পুষ্টিকর খাবার খুঁজছেন, তাহলে মাছ বেছে নিতে পারেন। এক কথায় বলতে গেলে, চিকেন থেকে পাবেন ভরপুর প্রোটিন আর মাছ আপনাকে পুষ্টি জোগাবে।