প্রতিটি বাবা-মা চান তাদের সন্তান বড় হয়ে লম্বা হোক এবং তাদের ব্যক্তিত্ব ভাল হোক। যদিও উচ্চতা অনেকাংশে জিনের উপর নির্ভর করে। তবে জিন ছাড়াও আরও অনেক কারণ উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। চিকিৎসাগত অবস্থা, পুষ্টি, শারীরিক কার্যকলাপ এবং পরিবেশও শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই যদি চান আপনার সন্তান লম্বা এবং সুগঠিত হোক, তাহলে শৈশব থেকেই শিশুদের সঠিক খাদ্যতালিকা এবং শারীরিক কার্যকলাপের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
শিশুদের উচ্চতা
আজকাল অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানের উচ্চতা নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন। সন্তানের উচ্চতা ভাল করতে চাইলে, তাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। এর পাশাপাশি, তার প্রতিদিন ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। এমন কিছু খাবার আছে, যা শিশুদের বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক হতে পারে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ক্যালসিয়াম শক্তিশালী হাড়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রোজ শিশুদের দুধ, দই, বাটারমিল্ক, পনিরের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুগ্ধজাত দ্রব্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
ফল
আপনার সন্তানকে রোজ ফল খেতে দিন। ফল ভিটামিন এ, বি, সি এবং অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা, সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
শাকসবজি
মেথি, পালং শাক, ব্রকলি, গাজর, বাঁধাকপির মতো সবুজ এবং বিভিন্ন রঙের সবজিতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, কে এবং আয়রন থাকে, পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সাহায্য করে। গাজরে ভিটামিন এ থাকে যা শরীরের টিস্যু মেরামতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
শরীরের টিস্যু এবং পেশীর জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সন্তানের খাদ্যতালিকায় ডিম, মুরগির মাংস, মাছের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। নিরামিষাশী হলে, দুধ, দই, পনির, সয়াবিন, টোফুর মতো দুগ্ধজাত খাবার খাওয়াতে পারেন।