NOTIFICATIONS
25th Apr
হাফ গ্লাস জলেই হবে কামাল, হু হু করে কমবে কোলেস্টেরল; কীভাবে? 
ব্যস্ত জীবনধারা এবং অন্যান্য কারণের কারণে বিপুল সংখ্যক লোক উচ্চ কোলেস্টেরলের (High Cholesterol) সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের ব্যস্ত জীবনের সময়সূচীর কারণে, আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের দিকে খুব কম বা কোন মনোযোগ দিই না। খারাপ লাইফস্টাইল, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরণ এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল (Cholesterol) জমে সমস্যা সৃষ্টি করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি প্রাথমিকভাবে চর্বিযুক্ত খাবার, ধূমপান বা অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে ঘটে।
খারাপ কোলেস্টেরল (Bad Cholesterol) একটি মোমের মতো পদার্থ। যা শিরায় জমা হয় এবং এর কারণে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হতে শুরু করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগ এবং এমনকি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। যখন কোলেস্টেরল বেড়ে যায়, রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয় এবং যখন রক্ত সঠিকভাবে হার্টে পৌঁছায় না, তখন একজন ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
আরও পডুন: Diabetes Control Tips: বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, প্রতিদিন কটা করে ডিম খাওয়া উচিত?
কিছু জীবনধারা পরিবর্তন করে আপনি একটি স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরে রাখতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, তবে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। গরম জল (Hot Water) খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। আসুন জেনে নিই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গরম জল কতটা কার্যকরী।
আমরা জানি রক্তনালিতে খারাপ চর্বি জমে উচ্চ কোলেস্টেরল হয়, গরম জল খাওয়া এই সমস্যার খুব কার্যকরী সমাধান। নিয়মিত গরম জল খেলে লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং এটি ধমনীতে চর্বি জমতে বাধা দেয়।
গরম জল রক্তের তরলতা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্তের তরলতা না থাকার কারণে শিরায় রক্ত ঘন হতে শুরু করে এবং এর ফলে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। গরম জল খেলে রক্ত পাতলা হয় এবং রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হল তৈলাক্ত খাবার এবং এর কারণে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তৈলাক্ত খাবার থেকে ট্রাইগ্লিসারাইড তৈরি হয় এবং এটি কোলেস্টেরল বৃদ্ধির প্রধান কারণ। গরম জল শিরায় ট্রাইগ্লিসারাইড কণা জমতে বাধা দেয়।
গরম জলের সঙ্গে রসুন খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা কমে। আপনি যদি খালি পেটে গরম জলের সঙ্গে রসুন খান, তবে এটি হার্ট সম্পর্কিত সমস্যার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়।