শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তনালীতে চর্বি জমতে শুরু করে দেয়। নালী সঙ্কুচিত হয়ে যায় এর ফলে। রক্ত চলাচলও বন্ধ। আর যে কারণে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এর থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি তৈলাক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমাতে হবে। সঙ্গে চাই নিয়মিত ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম। ধূমপান এবং মদ্যপান ছেড়ে দেওয়াই ভাল। কোন কোন খাবার দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল। বেশ কিছু মাছ আছে যেগুলি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আর আপনিও থাকেন একদম ফিট। তাহলে জেনে নিন এমন কোন মাছ রয়েছে যেগুলো খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়।
এই মাছে কোলেস্টেরল কমে
সামুদ্রিক বা তৈলাক্ত মাছ যদি খাওয়া যায় তাহলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর আপনিও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচেন। সেই তালিকায় রয়েছে স্যামন, টুনা ও সার্ডিন মাছ।
স্যামন মাছ
স্যামন মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। পুষ্টিবিদরা দৈনিক ২৫০ থেকে ১ হাজার মিলিগ্রাম করে এই উপাদান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে দুইবার স্যামন খেলে এই চাহিদা পূরণ হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, আবার ধমনীর কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করে।
টুনা মাছ
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মিলবে এই চর্বিহীন মাছ থেকে। টুনা মাছের এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। তাই কোলেস্টেরলের রোগীরা নিয়মিত চুনা মাছ খেতে পারেন।
সার্ডিন মাছ
সার্ডাইন বা সার্ডিনে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সার্ডিনে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম এবং আয়রন এবং সেলেনিয়ামের মতো কিছু বিশেষ খনিজ পদার্থ থাকে। এ ছাড়াও এটি রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এবং এই মাছ ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের একটি ভাল উৎস।