কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পরামর্শ সবাইকে দেওয়া হয়। কিন্তু অনেক সময় সব নির্দেশিকা মেনে চলার পরও কারও কারও কোলেস্টেরল মাত্রা বাড়তেই থাকে। সম্প্রতি অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র নিউরোলজিস্ট ডাঃ সুধীর কুমার এক ৭৪ বছরের রোগীর ঘটনা তুলে ধরে এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি জানান, ওই রোগী নিয়মিত ব্যায়াম করতেন, তার বডি মাস ইনডেক্স (BMI) এবং ওজন স্বাভাবিক ছিল, ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস ছিল না। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগের ইতিহাসও ছিল না। তবুও গত দশ বছর ধরে তার কোলেস্টেরলের রিপোর্ট স্বাভাবিক আসছে না।
ডাঃ কুমারের মতে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তবুও যদি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না আসে, বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে, ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে জিনগত কারণ বা শরীরের প্রাকৃতিক পরিবর্তনের জন্যও কোলেস্টেরল বাড়তে পারে, যা শুধুমাত্র ব্যায়াম বা খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, 'সবসময় উচ্চ কোলেস্টেরল খারাপ জীবনযাত্রার কারণে হয় না। তাই সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করা জরুরি।'
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে করণীয়
খাদ্যতালিকায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার যেমন আখরোট, তিসি বীজ ও মাছ রাখুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
নির্দিষ্ট সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চিকিৎসকের মতে, প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই শুধু জীবনযাপন পরিবর্তন করলেই কোলেস্টেরল কমবে, এমন ধারণা সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাত্রার পাশাপাশি প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণই সঠিক পথ।