![christmas 2021 Santa Clause comes on a Sleigh to give gifts on Christmas Eve](https://akm-img-a-in.tosshub.com/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202112/santa_clause_comes_on_a_sleigh_to_give_gifts_on_christmas_eve.jpg)
বিশ্বজুড়ে শহরগুলি সেজে উঠেছে ইতিমধ্যে। শনিবার বড়দিন (Christmas) অর্থাৎ আগামী কাল, শুক্রবার ক্রিসমাস ইভ (Christmas Eve)। যেদিন থেকেই, চারিদিক থেকে ভেসে আসে ক্যারলের (Carol) সুর। জিঙ্গেল বেলস-র (Jingle Bells) গাইতে গাইতেই ২৪ ডিসেম্বর, বড়দিনের আগের রাতে চুপি চুপি শহরে আসেন এক মোটা সোটা বুড়ো (Santa Claus)।
সাদা দাড়ি, লাল সাদা টুপি, লাল পোশাক, আর তার সঙ্গে কাঁধে মস্ত বড় একটা ঝোলা নিয়ে সকলকে উপহার দিতে পাড়ি দেন সান্তা বুড়ো ওরফে সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজ। শুধু শিশু কেন, অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক আজও মনে করেন বড়দিনের আগের রাতে তাঁদের কাছে সান্তাক্লজ এসে উপহার দিয়ে যান।
যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই রীতি। ক্রিসমাস ইভে নিজেদের বালিশের পাশে কিংবা ঘরের কোন স্থানে মোজা রেখে এবং আশা থাকে সান্তার উপহারের। তবে জানেন কেন এই মোজা রাখার রীতি? কোথা থেকেই বা শুরু এই চল? জানুন আসল তথ্য...
* সেন্ট নিকোলাসের গল্প
সান্তা ক্লজকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্প। তার মধ্যে কথিত আছে, চতুর্থ শতাব্দীতে তুরস্কের (আগে এশিয়া মাইনর) সেন্ট নিকোলাস নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তি অত্যন্ত দয়ালু ছিলেন। ছোটবেলায় সে তাঁর বাবা-মাকে হারায়। দুঃস্থদের সাহায্য করতেন তিনি। এমনকী অনেক সময় গোপনে তাদের জন্য উপহারও রেখে আসতেন।
ওই দেশেই এক ব্যক্তি অর্থের অভাবে তার তিন মেয়েদের বিয়ে দিতে অক্ষম ছিলেন। একথা নিকোলাসের কানে আসা মাত্রই, তিনি সেই ব্যক্তির বাড়ির ছাদে উঠে তার চিমনিতে সোনা ভরা থলি রেখে আসেন। ঘটনাচক্রে সেদিনই তিনি মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন চিমনিতে।
নিকোলাস সেই মোজাতেই সোনা ভরে দিয়েছিলেন। তবে একবার নয়, মোট তিনবার। সোনা দেওয়ার সময়ে শেষবার সেই ব্যক্তি নিকোলাসকে দেখে ফেলেছিলেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন সকলের আড়ালে নিঃস্বার্থভাবে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াতে। তাই সাহায্যের কথা কাউকে জানাতে বারণ করেন। তাও বিষয়টি চাপা থাকে না। এই ঘটনার পর থেকে কেউ কোনও গোপন উপহার পেলেই মনে করতেন, বোধ হয় নিকোলাস দিয়েছেন। ধীরে ধীরে নিকোলাসের গল্প তুরস্ক পেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ল না না দিকে। জনপ্রিয় হয়ে নিকোলাস হয়ে উঠলেন সেন্ট নিকোলাস বা ফাদার নিকোলাস।
* সান্তা ক্লজের বাড়ি
আবার কানাডার মুস্কোকা গ্রামকে বলা হয় সকলের প্রিয় সান্তা ক্লজের বাড়ি। সেখনে সান্তার নামে একটি মেইলিং পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল। যেখানে আজও লক্ষ লক্ষ চিঠি পৌছায়। এই ডাকের কোডটি হল,' H0H0H0'। সেই থেকেই মনে করা হয়, সান্টা 'হোহোহো' করে হেসে উপহার দেবেন ২৪ ডিসেম্বর রাতে।
* মেরি ক্রিসমাস
যিশু খ্রিস্টের (Jesus Christ) জন্মদিন মানেই আনন্দের উৎসব। সব বিষাদ ভুলে একে-অপরের মুখে হাসি ফোটাতে চান সকলে। সেই থেকে বিশ্বাস, বড়দিনের ঠিক আগের রাতে তিনি স্লেজ গাড়ি চেপে পৌঁছে যান ঘরে ঘরে। সেই স্লেজ আবার টানে বল্গা হরিণ। উপহারের পাশাপাশি তিনি মনবাঞ্ছাও পূর্ণ করেন সকলের। তাই ২৪ ডিসেম্বর রাতে মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয়, সেন্ট নিকোলাস বা সান্তা ক্লসের থেকে বিশেষ দিনে উপহার পাওয়ার আশায়।
* বড়দিনে উপহার
এছাড়াও ২৫ ডিসেম্বর মাদার মেরি কোলে যখন আসেন ছোট্ট যিশু, তখন তিনজন জ্ঞানী মানুষ আকাশের তারা অনুসরণ করে বেথেলহামে পৌঁছান। যিশুকে দেখার পর তাঁরা সোনা, ধূপ এবং গন্ধরস উপহার দেন তাঁকে। শোনা যায় সেই থেকেই বড়দিনে উপহার আদান প্রদানের রীতি চলে আসছে।