শীতকাল (Winter 2022) আসা মানেই চ্যবনপ্রাশ (Chyawanprash) খাওয়ার সময়। বহু বাড়িতে আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সের মানুষের ঠাণ্ডার মরসুমে চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার রীতি রয়েছে। চ্যবনপ্রাশে অনেকগুলি ভেষজ রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) বাড়াতে কাজ করে। এটি ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে শরীরকে সাহায্য করতে পারে। এরকমই নানা উপকারিতা থাকলেও অনেকেরই অজানা অত্যাধিক পরিমাণে চ্যবনপ্রাশ খেলে, শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে।
চ্যবনপ্রাশে ৫০ রকমের ভেষজ ঔষধি এবং নির্যাস থাকে। এগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। আসুন জানা যাক কেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চ্যবনপ্রাশ খাওয়া উচিত নয়। কারণ প্রতিটি মানুষের শরীর অনুযায়ী নির্ভর করে, এটা খাওয়া আদৌ উপকারী হবে না, উল্টো ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জানুন চ্যবনপ্রাশের কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ১০ ফুড কম্বিনেশন দ্রুত ফ্যাট বার্ন করতে পারে, জানুন ওজন কমানোর ফর্মুলা
সঠিক পরিমাণে অর্থাৎ শরীরের প্রয়োজন অনুসারে চ্যবনপ্রাশ খেলে, বেশিরভাগ মানুষের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। এর ব্যতিক্রম হয়, যদি আপনার চ্যবনপ্রাশের যে কোনও উপাদানে অ্যালার্জি থাকে, যা বিরল হলেও ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে এটি কেনার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর- সুস্বাদু কুকিজ, জানুন সহজ রেসিপি
তবে অত্যধিক পরিমাণে চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার ফলে আপনার শরীর এটিতে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে চ্যবনপ্রাশ খেলে বদহজম, পেট ফোলা, পেট ফাঁপা লাগা সহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিঙ্গ, বয়স, ওজন, খিদে এবং স্বাস্থ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে চ্যবনপ্রাশ খেতে হবে।
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগের রাতে মোজায় উপহার দেন সান্তা ক্লজ! কীভাবে শুরু এই রীতি?
যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ অম্লীয় প্রস্রাব, ধীর হজম প্রক্রিয়া, ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা থাকে তাদের চ্যবনপ্রাশ খেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এছাড়া, গর্ভবতী মহিলা বা যারা সন্তানকে মাতৃদুগ্ধ পান করান, তাদের চ্যবনপ্রাশ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা উচিত। পরিবারে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগী থাকলে দুধ বা দইয়ের সঙ্গে চ্যবনপ্রাশ খাওয়া উচিত নয়।