ভারত সহ সারা বিশ্বে ডাবের জলের চাহিদা রয়েছে, কারণ এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার একটি সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায়। এর স্বাদও খুব ভাল। বিশেষত সামুদ্রিক এলাকায় স্ট্র দিয়ে ডাবের জল খাওয়ার আনন্দই আলাদা। পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও মানুষ ডাব খেয়ে থাকেন। অনেক ডাবের মধ্যে শাঁসও থাকে। কেউ সেটি খান, আবার কেউ ফেলে দেন। তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলের মতো এর শাঁসেরও রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। চলুন বিষয়টা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
১. ওজন কমাতে কার্যকরী
অনেকে মনে করেন ডাবের শাঁস খেলে ক্যালোরি বাড়ে, যার কারণে স্থূলতার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু এটি সত্য নয়। বরং যদি কেউ সীমিত পরিমাণে ডাবের শাঁস খান তাহলে তাঁর পেট ও কোমরের চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
২. হজমে সহায়ক
যাঁদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অবশ্যই ডাবের শাঁস খেতে পারেন। কারণ এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য একটি সুপারফুডের মতো কাজ করে। এটি কেবল খাবার হজম করতেই সাহায্য করে না, অন্ত্রকেও সুস্থ করে তোলে। তাই ডাবের শাঁস অবশ্যই খাওয়া উচিত।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়
করোনা পিরিয়ডের পরে, মানুষ নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আরও অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মানুষের অবশ্যই ডাবের জল এবং এর শাঁস খাওয়া উচিত। কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. মুখে গ্লো আসে
গ্রীষ্মের আবহাওয়া এবং আর্দ্র তাপমাত্রায় আমাদের ত্বক খুবই খারাপভাবে প্রভাবিত হয়। এই পরিস্থিতিতে যদি ডাবের জলের ও শাঁস খাওয়া হয়, তবে মুখে একটি দুর্দান্ত উজ্জ্বলতা আসবে। পাশাপাশি বার্ধক্যের ছাপও পড়বে না।
৫. ইনস্ট্যান্ট এনার্জির উৎস
গ্রীষ্মের মরসুমে অনেক সময়, প্রচণ্ড রোদ, আর্দ্রতা এবং ঘামের কারণে ক্লান্তি বোধ হয়। কিন্তু ডাবের জল বা এর শাঁস খেলে সঙ্গে সঙ্গে সাথে সাথে শরীরে এনার্জি আসে এবং তরতাজা ও চনমনে বোধ হয়।
আরও পড়ুন - হার্ট মজবুত রাখে, দূর করে ক্লান্তি; উপকার জানলে এই সবজির বীজ আর ফেলবেন না...