দিনভর কম্পিউটারে চোখ। সেই সঙ্গে মোবাইলে ঘাঁটাঘাঁটি। রাতে শোওয়ার আগেও চলে চোখের উপরে অত্যাচার। ফলে প্রায়শই চোখ ক্লান্ত হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে চোখের চারপাশ কালো হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের সমস্যা সৌন্দর্য কমিয়ে দেয়। অনেকেই ভাবেন, চোখে ক্লান্তি বা চোখের তলায় ফুলে যাওয়া ঘুমের কারণে। তা কিন্তু নয়! চোখের সমস্যার জন্য একাধিক কারণ রয়েছে। যেমন-জেনেটিক্স, অতিরিক্ত নুন খাওয়া,বার্ধক্য এবং দূষণের কারণে অ্যালার্জি। অত্যাধিক মদ খেলেও চোখের তলায় ফোলাভাব আসতে পারে। চোখের চারপাশে তরল জমা হয় যে কারণে চোখের তলায় ফুলে যায়।
চোখের ব্যাগের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোল্ড স্পুন থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। স্পুন থেরাপিতে চোখের ফোলাভাব কমে। কসমেটোলজিস্ট এবং লেজার সার্জন ত্বক বিশেষজ্ঞের মতে, ঠান্ডা চামচের টোটকা চোখের নীচের ফোলাভাব কমানোর একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। চামচের শীতলতা চোখের চারপাশে রক্তনালীকে সংকুচিত করে। যা জ্বালা এবং ফোলা কমাতে পারে। সেই সঙ্গে চামচের চাপ চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা চামচ ফোলাভাব কমানোর পাশাপাশি চোখের চারপাশের রক্তনালীগুলিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে এই থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই থেরাপি একটি স্থায়ী নিরাময় নয়। এটি ফোলা চোখ থেকে সাময়িক আরাম দিতে পারে। ক্লান্তি থেকেও রেহাই দেয়।
কীভাবে করবেন ঠান্ডা চামচের থেরাপি
দু'টি চামচ ফ্রিজে কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিটের জন্য রাখুন। যতক্ষণ না তারা ঠান্ডা হয়ে যায়। শুয়ে থাকুন। আপনার বন্ধ চোখের উপরে ঠান্ডা চামচ রাখুন। চামচগুলি কয়েক মিনিট বা গরম না হওয়া পর্যন্ত ধরে রাখুন। কিছুক্ষণ পর আবার এই প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। এভাবে প্রতিদিন চোখে ঠান্ডা চামচ দিয়ে ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাবেন। সেই সঙ্গে দিনভর কাজ করে চোখে যে ক্লান্তি আসে তা থেকেও পাবেন রেহাই।
এছাড়া আর কী কী করতে পারেন?
১। চামচের পরিবর্তে বরফের টুকরোও ব্যবহার করতে পারেন। বরফ একটি কাপড়ে মুড়িয়ে আপনার চোখের উপর রাখুন। ঠান্ডা আলু এবং শসার টুকরো ব্যবহার করতে পারেন।
২। চোখে টি ব্যাগ ভিজিয়ে রাখলেও উপকার মেলে। ফোলাভাব দূর হয়।