কত ধরনের নেশা হয়! তা বলে কন্ডোমের? এমন ঘটনাই শোরগোল ফেলে দিয়েছে দুর্গাপুরে। হঠাৎ করে বিক্রি বেড়ে গিয়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের। খোঁজখবর নিতে গিয়েই চমকে উঠেছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, কন্ডোম ব্যবহার করে নেশা করছেন যুবক-যুবতীরা কী বলছেন মনোবিদরা?
যৌন রোগ ও গর্ভধারণ থেকে বাঁচতে গভীর অন্তরঙ্গতার সময় কন্ডোম ব্যবহার করা হয়। সুগম সঙ্গমের জন্য কন্ডোমের সঙ্গে থাকে এক ধরনের তৈলাক্ত রাসায়নিক। এই রাসায়নিককে বলে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড। সেই সঙ্গে থাকে নানা ধরনের ফ্লেভার। সেই ফ্লেভার ও রাসায়নিকই ব্যবহার করা হচ্ছে নেশাদ্রব্য হিসেবে। কী ভাবে? প্রশাসন জানতে পেরেছে, গরম জলে কন্ডোম ভেজালে বেরিয়ে আসে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড। তা মিশে যায় জলের সঙ্গে। সেই জল খেয়েই নেশায় বুঁদ হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
দুর্গাপুরে হু হু করে এখন বিকোচ্ছে কন্ডোম। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা তা ব্যবহার করছেন। কন্ডোম ধোওয়া জলে অনেকক্ষণ নেশা হচ্ছে বলেও দাবি। মনোবিদরা কী বলছেন?
আজতক বাংলাকে মনোবিদ প্রশান্ত রায় বলেন,'বরাবরই নতুনত্বের প্রতি ঝোঁক থাকে তরুণ প্রজন্মের। কন্ডোম নিয়ে একটা কৌতূহল রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তাঁরা বেশি করে আকৃষ্ট হন।' এটা কি অবসাদের ফল? তাঁর মতে,এটা অবসাদের জন্য নয়। নতুনত্বের খোঁজেই এই ধরনের নেশা করছে তরুণ প্রজন্ম।
এই নেশা কি সাময়িক নাকি চলতে থাকবে? প্রশান্তের কথায়,'এমন নেশা চলতেই থাকে। যেমন ডেনড্রাইট এখনও চলছে তেমনই।' তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক নিয়মেই নেশামুক্তি হয় বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রশান্ত রায়। তিনি বলেন,'একটা বয়সের পর বেশিরভাগই নেশা থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে ১০ শতাংশ আর বেরোতে পারেন না।'
আরও পড়ুন- রুটি খেয়েই কমান পেটের চর্বি, খালি স্টাফিং করুন এই জিনিস