শীতের মরশুম শুরু হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যার ফলে জ্বর সর্দ কাশির মতো শারীরিক সমস্যায় ভোগেন মানুষ। এক্ষেত্রে হালকা চিকিৎসা বা ঘরোয়া কিছু প্রতিকারের মাধ্যমে অনেকেই সর্দি কাশি সারিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে কখনও যদি এক বা দুই সপ্তাহ পরেও কাশি না সারে তাহলে সেটি অন্য কোনও কঠিন রোগের সংকেত হতে পারে। আর সেটা অবহেলা করা কখনওই উচিত নয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক একটানা এক বা দুই সপ্তাহের বেশি কাশি হলে তা কোন কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে।
১. সংক্রমণ
এটা অবশ্যই মাথায় রাখবেন, কাশির প্রধান কারণ সংক্রমণ। একটানা কয়েক সপ্তাহ পরেও যদি কাশি বন্ধ না হয়, তাহলে বুঝবেন সংক্রমণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সেক্ষেত্রে এটি ফ্লু বা নিউমোনিয়ার মতো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. পোস্ট নেজাল ড্রিপ
অনেক সময় গলার পেছনের অংশে অত্যধিক কফ জমে যায় এবং শ্লেষ্মা বেরিয়ে আসার মতো অনুভূতি হয়। একেই বলা হয় পোস্ট নেজাল ড্রিপ। কারণ নাকে জমে থাকা শ্লেষ্মা গলায় আসে এবং তার ফলে একটানা কাশি হয়।
৩. হাঁপানি
হাঁপানি ফুসফুসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি রোগ, যা মানুষের শারীরিক অবস্থাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এর জেরে শ্বাসনালীতে সংকোচন বা ফোলাভাব দেখা দেয়। ক্রমাগত কাশি হাঁপানির একটি উপসর্গ হতে পারে, যা আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বায়ু দূষণের জেরে আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
৪. হজমের সঙ্গে সম্পর্ক
সাধারণত, হজম সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কারও কাশি হয় না। তবে যদি গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স বা অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়, তবে খাবারের কিছু অংশ খাদ্যের নালীতে ফিরে আসতে শুরু করে, যার ফলে ঘন ঘন কাশি হয়। তাই কখনও যদি দেখেন গ্যাস অম্বল হওয়ার পর কাশি হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হোন।
আরও পড়ুন - দীর্ঘ ওয়ার্ক ফ্রম হোমে বর্ধিত ভুঁড়ি খুব সহজেই কমিয়ে ফেললেন যুবক, কীভাবে?