Cooked Rice Water Benefits: ভাত (Rice) বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দের খাবার। তবে বেশিরভাগ মানুষই ভাতের মাড় (Rice Water) ফেলে ঝরঝরে ভাত খেতে পছন্দ করেন। আপনি কি জানেন ভাতের মাড় স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী? প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক রোগ ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার ভুল করবেন না।
১. তাত্ক্ষণিক শক্তি দেয়
এটি শরীরের শক্তির একটি চমৎকার উৎস যা কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। ভাতের মাড় শক্তি বাড়ানোর একটি দুর্দান্ত উপায়। গরম ভাতের ফ্যানে ঘি ও নুন মিশিয়ে খান, এটি স্বাদ ও স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই খুব ভালো।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করে
ভাতের মাড়ে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটিয়ে হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি ভাল ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় করে, যাতে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা না হয়।
৩. ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে
শিশু হোক বা বৃদ্ধ, ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় ভাতের ফ্যান বা মাড় উভয়ের জন্যই খুবই উপকারী। ডায়রিয়ার সমস্যার শুরুতেই ভাতের ফ্যান পান করলে এর মারাত্মক পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৪. জ্বরে উপকারী
ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর হলে ভাতের ফ্যান খেলে শরীরে যেমন জলের ঘাটতি হবে না, তেমনই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে থাকবে যা আপনাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
৫. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ভাতের মাড় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য সোডিয়াম কম থাকায় ভাতকে অন্যতম সেরা খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৬. ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে
শরীরে জলের অভাব ডিহাইড্রেশন আকারে বেরিয়ে আসে। বিশেষ করে গরমে এই সমস্যা বেশি হয়। ভাতের ফ্যান শরীরে জলের ক্ষয় রোধ করে।
৭. ত্বক উজ্জ্বল করে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভাতের মাড় ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন। এ জন্য ভাতের মাড় তুলতে ভিজিয়ে মুখে লাগালে উজ্জ্বল ত্বক পাবেন। চুলের যত্নেও ভাতের মাড়ের জুড়ি মেলা ভার। চুল মসৃণ ও চকচকে করতে ভাতের মাড় ব্যবহার করুন।