কুকিং অয়েল বা রান্নার তেল আমাদের রান্নার কাজে প্রতিনিয়ত ব্যবহার হয়। এই তেল বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে আর রান্নার ধরনের ওপর নির্ভর করে এই তেল কেমন হবে। রান্নার তেল-এর উদ্দেশ্যই হল, ভাজা-পোড়া, মশলা নাড়াচাড়া করা ও খাবারের নমনীয়তাকে বজায় রাখা। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে রান্নার তেল থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। আমেরিকার সরকার এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন, যেখানে পাওয়া গিয়েছে যে রান্নার তেলের কারণে ক্যান্সার হতে পারে। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই গবেষণা মেডিক্যাল জার্নল গেটে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে সূর্যমুখী, আঙুরের বীজ, ক্যানোলা ও ভুট্টার বীজের তেল থেকে ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
বীজের তেল খেলে কী হতে পারে
কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে যে তাদের মধ্যে বায়োঅ্যাক্টিভ লিপিডের মাত্রা উচ্চ ছিল, যা বীজের তেল খাওয়ার পরই ধরা পড়েছে। এই গবেষণায় ৩০ থেকে ৮৫ বছর বয়সী মানুষের ৮১টি টিউমার নমুনা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং এর কারণ হিসাবে বীজের তেলকে ক্যান্সারের টিউমারের উচ্চ মাত্রা লিপিডকে দায়ি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে মোমবাতি প্রস্তুতকারক উইলিয়াম প্রোক্টর সাবানে পশি চর্বির একটি সস্তা বিকল্প হিসাবে বাজ থেকে তেল তৈরি করেছিলেন। যা আমেরিকানদের খাদ্যের একটি প্রধান অংশ হয়ে ওঠে।
বীজের তেল ও ক্যান্সারের সম্পর্ক
অনেক আগের গবেষণায় এটা উঠে এসেছিল যে বীজের তেল শরীরে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। এটা শরীরে ফোলাভাব তৈকি করে। যদিও, বীজের তেল ব্রেকডাউন করানোর মতো বায়োঅ্যাক্টিভ লিপিড কোলন ক্যান্সার শরীরে দ্রুত প্রসারিত করতে সহায়তা করে আর টিউমারের সঙ্গে লড়াই করাকেও আটকে দেয়। বীজের তেলে ওমেগা-৬ ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। গবেষণা অনুসারে, বীজের তেলের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে প্রদাহ ক্যান্সারের বিকাশকে উন্নীত করতে পারে। তবে এ নিয়ে গবেষণা এখনো চলছে।
রান্নার তেল কীভাবে বেছে নেবেন
স্বাস্থ্যের জন্য: আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকেন তবে হালকা তেল বেছে নেওয়া ভালো, যেমন অলিভ অয়েল বা সূর্যমুখী তেল।
রান্নার পদ্ধতি অনুসারে: চিনাবাদাম বা সয়াবিন তেল ভাজার জন্য ভাল, অন্যদিকে অলিভ অয়েল স্যালাড এবং হালকা খাবার তৈরির জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
স্বাদ এবং গন্ধের জন্য: আপনি যদি বিশেষ স্বাদ চান তবে আপনি তিলের তেল বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।