রান্নায় ধনেপাতা না থাকলে, বাঙালির যেন রান্নাটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ধনেপাতার গুণ শুধু স্বাদেই সীমাবদ্ধ নয়, এর বিভিন্ন উপকারিতও রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখের আলসার জনিত ঘা নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ধনেপাতার পুষ্টি উপাদান স্মৃতিশক্তি ভাল রাখতে ও মস্তিষ্কের নার্ভ সচল রাখতে সহায়তা করে।
রান্নায় স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি করতেই মূলত ধনেপাতা ব্যবহার করা হয়। তাই প্রতিদিনই ধনেপাতার যোগান থাকতে হয় বাঙালির রান্নাঘরে। কিন্তু রোজ রোজ বাজারে গিয়ে ধনেপাতা নিয়ে আসা ঝামেলার। কিন্তু যদি বাড়িতেই পাওয়া যায়, ধনেপাতা তাহলে কেমন হয় বলুন তো?
অবাক হচ্ছেন? অবশ্য যে কেউ শুনলে অবাকই হবেন। এটা আপনি করতে পারবেন কোনও ঝামেলা ছাড়াই। বাড়িতেই করুন ধনেপাতার চাষ। ধনেপাতা সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে ঘরের এক কোণেই চাষ করতে পারেন। সৌখিন বৃক্ষ প্রেমিক যারা, তাদের জন্য এক কথায় এটি 'সোনায় সোহাগা'।
যে উপকরণগুলো প্রয়োজন
ঘরে রাখার মতো পরিত্যাক্ত কন্টেইনার বা ছোট গামলা, সতেজ ধনে বীজ বা ব্যবহৃত ধনেপাতার শিকড়, এছাড়া মাটি, জল ও দড়ি লাগবে।
চাষ করার পদ্ধতি
ধনেপাতা চাষের দুটি উপায় রয়েছে। বীজ থেকে চারা তৈরি করে করতে পারেন। এছাড়া শিকড় সংগ্রহ করেও করা যায়। তবে বীজ থেকে যে নতুন চারা জন্মায়, তা বেশি ভাল হয়।
প্রথমে পরিত্যাক্ত পাত্র বা গামলাটিতে মাটি ভর্তি করুন। মাটি ঝরঝরে এবং দানাদার হলে ভাল। এরপর বীজগুলো পিষে নিন। বীজগুলো রোপণ করার আগের দিন সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। গামলার মাটি ভিজিয়ে, তার ওপর বীজগুলো ছড়িয়ে দিন। এরপর ওপরে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়ে হালকা জল দিন। গামলাটি এমন জায়গায় রাখবেন, যাতে পর্যাপ্ত রোদ ও বাতাস পাওয়া যায়। কিছুদিন পরেই দেখতে পাবেন ধনেপাতা গাছ।
বীজে বারবার জল দেবেন না। বীজের মান যত ভাল হবে, ফলাফল তত ভাল হবে। তাই সঠিক বীজগুলো বেছে নিন। গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করার সময় শিকড়সহ তুলবেন না। উপর থেকে পাতা কেটে নিলেই হবে।