Cornstarch: সস ও স্যুপে এটা মেশাচ্ছেন? আড়ালে লুকিয়ে বিপদ জানুন

ভারতীয় রান্নায় সস ও স্যুপের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সুস্বাদু টমেটো সস থেকে শুরু করে গরমাগরম হোয়াইট সস পাস্তা কিংবা স্যুপ—প্রতিটিতেই একটি সাধারণ উপাদান ব্যবহার হয়, তা হল কর্নস্টার্চ বা ভুট্টার আটা। এটি খাবারকে ঘন ও মসৃণ করতে সাহায্য করে ঠিকই, তবে অতিরিক্ত খেলে শরীরে বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা।

কর্নস্টার্চ কী?
কর্নস্টার্চ হল একটি প্রক্রিয়াজাত, পরিশোধিত উপাদান যা মূলত কর্নের এন্ডোস্পার্ম থেকে তৈরি হয়। এটি প্রচুর ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করলেও এতে নেই পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বা খনিজ উপাদান। এক কাপ কর্নস্টার্চে থাকে ৪৮৮ ক্যালোরি এবং ১১৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, অথচ মাত্র ১ গ্রাম ফাইবার।

কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে কর্নস্টার্চ?

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে সক্ষম: উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকের কারণে কর্নস্টার্চ দ্রুত রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়: কর্নস্টার্চ একটি পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট, যার অতিরিক্ত সেবনে করোনারি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ইত্যাদির ঝুঁকি বেড়ে যায়।

পুষ্টির ঘাটতি: এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি না থাকায় দীর্ঘমেয়াদে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।

কতটা পরিমাণ নিরাপদ?
পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ১–২ টেবিল চামচ (৮–১৬ গ্রাম) কর্নস্টার্চ নিরাপদ হতে পারে। তবে এর পরিবর্তে অ্যারোরুট, গমের আটা, আলুর মাড় কিংবা ট্যাপিওকা মাড়ের মতো বিকল্প বেছে নেওয়াই ভাল। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী কিংবা যারা লো-কার্ব ডায়েটে থাকেন, তাঁদের জন্য কর্নস্টার্চ এড়িয়ে চলা জরুরি।