COVID-মুক্ত হয়েই যে কাজটি করবেন, না হলেই ফের সংক্রমণের ঝুঁকি!

করোনার তৃতীয় ঢেউ আর ওমিক্রনের দাপটে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। করোনার এই তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক প্রমাণিত না হলেও বেশ সংক্রামক। এই পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র অসতর্ক হলেই বিপদ। তৃতীয় ঢেউ সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও রেয়াত করছে না। করোনা সংক্রমণে মুখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনি যদি করোনায় আক্রান্ত হন বা এর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে অবশ্যই আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন।

Advertisement
COVID-মুক্ত হয়েই যে কাজটি করবেন, না হলেই ফের সংক্রমণের ঝুঁকি!প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • করোনা সংক্রমণে মুখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ
  • আপনি যদি করোনায় আক্রান্ত হন বা এর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে অবশ্যই আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন
  • করোনা থেকে সেরে ওঠার পর যদি আপনি আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন না করেন, তাহলে তা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে

করোনার তৃতীয় ঢেউ (COVID-19 Third Wave) আর ওমিক্রনের (Omicron) দাপটে গোটা বিশ্ব তোলপাড়। করোনার এই তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক প্রমাণিত না হলেও বেশ সংক্রামক। এই পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র অসতর্ক হলেই বিপদ। তৃতীয় ঢেউ সম্পূর্ণরূপে টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও রেয়াত করছে না।

বদলে ফেলুন টুথব্রাশ 

করোনা সংক্রমণে মুখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনি যদি করোনায় আক্রান্ত হন বা এর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে অবশ্যই আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। হয়তো আপনার জানা নেই, তবে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর যদি আপনি আপনার টুথব্রাশ (Toothbrush) পরিবর্তন না করেন, তাহলে তা খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।

বাড়িতে একটিই বাথরুম থাকলে তাও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। গুরুগ্রামের আর্টেমিস হাসপাতালের ডেন্টিস্ট ডাঃ অঞ্জনা সত্যজিৎ এ সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন। অঞ্জনা সত্যজিৎ বলেন, প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা একটি ভালো অভ্যাস। তবে কোভিডের পরে, মোটেও দেরি করবেন না এবং অবিলম্বে ব্রাশ পরিবর্তন করুন। তাঁর বক্তব্য, ভাইরাসটি প্লাস্টিকের ওপর দীর্ঘ সময়ের জন্য বেঁচে থাকতে পারে, তাই নিরাপদ থাকার জন্য, আপনাকে টুথব্রাশ বদলানো উচিত।

আরও পড়ুন, একটি মোবাইল নম্বর থেকে CoWin-এ ৪ জন নয়, সংযুক্ত করা যাবে আরও বেশি সদস্যকে

এটি শুধুমাত্র আপনাকে পুনরায় সংক্রামিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে না, বরং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও রক্ষা করবে, যারা আপনার সঙ্গে একই বাথরুম ব্যবহার করেন। এছাড়াও, সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে একটি নতুন জিভ ক্লিনার ব্যবহার করুন। করোনা মুখের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। এর ফলে মুখের ভিতর শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং মাড়িতে আলসারের সমস্যা হতে পারে।

মুখের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা

মুখের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভাইরাসের বিস্তার বাড়াতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটি মূলত সংক্রামিত ব্যক্তির মুখ থেকে নির্গত ছোট ছোট লালার ফোঁটার মাধ্যমে ছড়ায়, বিশেষ করে যখন তারা কাশি, হাঁচি, কথা বলে বা হাসে।

Advertisement

তাই হাত ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে আপনার শরীরের খোলা অংশগুলি সময়ে সময়ে জীবাণুমুক্ত করা উচিত। দাঁত ব্রাশ করার আগে এবং ফ্লস করার সময় হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। দিনে দু'বার জিভ পরিষ্কার করুন, ব্রাশ, ফ্লস করুন। নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ বাথরুম ব্যবহার করেন, তাহলে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে ব্যবহার করা বেসিন বা সিঙ্কটিকে জীবাণুমুক্ত করতে ভুলবেন না।

POST A COMMENT
Advertisement