ভোপালের একটি মাল্টিপ্লেক্সে 'সায়ারা' চলাকালীন ২৪ বছরের এক যুবক হঠাৎ শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন, হাত-পা কাঁপতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হয়। দিল্লির ২১ বছরের এক তরুণী সিনেমার শেষ ১৫ মিনিটে অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হন, তাঁকে বের করে আনা হয়।
এই সিনেমা কেন এত প্রভাব ফেলছে?
সিনেমাটি সম্পর্কের ভাঙন, একাকীত্ব আর ত্যাগের গল্প। যা উদ্বেগ, আত্মমর্যাদাবোধের অভাব বা সাম্প্রতিক ব্রেকআপে ভুগছেন এমন তরুণদের মধ্যে পুরনো ক্ষত উসকে দিচ্ছে।
ড. সত্যকান্ত ত্রিবেদী (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ): 'যাদের জীবনে অমীমাংসিত ট্রমা রয়েছে, তাদের জন্য এই ধরনের ছবি এক প্রবল ট্রিগার হয়ে উঠতে পারে। কান্না, আতঙ্ক, শ্বাসকষ্ট, এসবই সেই স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ।' ড. অনিল সিং শেখাওয়াত: 'কিছুটা আবেগঘন হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু যদি মন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, সেটি বিপদের ইঙ্গিত। মানসিকভাবে অস্থির ব্যক্তির জন্য এই ধরনের ছবি আঘাতের কারণ হতে পারে।'
ট্রিগার সতর্কতা কি জরুরি?
ওটিটি প্ল্যাটফর্মে Trigger Warning দেওয়া হয়, কিন্তু সিনেমা হলে তা নেই।
ড. চন্দ্র প্রকাশ (ঢাবি) মনে করেন, 'এমন সিনেমার আগে সতর্কতা দেওয়া উচিত যে এতে মানসিকভাবে সংবেদনশীলদের অস্বস্তি হতে পারে।'
ড. বিধি এম পিলানিয়া (কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞানী) বলেন, 'ট্রিগার ওয়ার্নিং সেন্সরশিপ নয়, সংবেদনশীলতার বিষয়। আগে থেকে জানলে কেউ নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।'
সিনেমা কেবল বিনোদন নয়। কখনও কখনও তা মানসিক ঝড় তোলে। 'সায়ারা'-র অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিল, ট্রিগার সতর্কতা আর মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন আজকের দিনে আরও বেশি।