দই অন্য়তম জনপ্রিয় ভারতীয় খাবার। বিভিন্ন ধরনের রান্নায় দেওয়া দই। এছাড়া খাবার পরে টক বা মিষ্টি দইও খান অনেকে। দই শরীরের জন্যও উপকারী। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-২, ভিটামিন বি-১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। প্রতিদিন এক বাটি দই খেলে ত্বক ও স্বাস্থ্য জন্য উপকারী। দইয়ের এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন দই খেলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে।
শীতকালে খাওয়াদাওয়ায় প্রচুর অনিয়ম হয়। সেজন্য শরীরকে তরতাজা রাখতে প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়া যেতে পারে। টক দইয়ে থাকে প্রো বায়োটিক উপাদান। যা সুস্থ রাখে লিভারকে। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে দই। টক্সিন বের করে দেয়। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম তাড়াতাড়ি হজম করে খাবার। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। তবে দই খেলে বিবিধ সমস্যাও হতে পারে।
বিভিন্ন অসুখে ভুগলে দই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়। অজান্তে দইয়ের সঙ্গে কিছু খাবার খেলে পেট থেকে ত্বকের অসুখের আশঙ্কা বেড়ে যায়। চলুন জেনে নিই কাদের দই খাওয়া উচিত নয় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী-
হজমের সমস্যা থাকলে- প্রতিদিন দই খেলে হজমের বিবিধ সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত দই খেলে পরিপাকতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়। দেখ দেয় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
গাঁটে ব্যথা- গাঁটে ব্যথা, আর্থ্রাইটিস থাকলে দই খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের লোকেরা যদি দই খান, তাহলে গাঁটের ব্যথার সমস্যা বাড়তে শুরু করে। তাই গাঁটে ব্যথা থাকলে দই খাবেন না।
হাঁপানি রোগীদের দই খাওয়া উচিত নয়: হাঁপানির সমস্যা থাকলে ভুলেও দই খাওয়া উচিত নয়। দই খেলে হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়ে।
গ্যাস ও অ্যাসিডিটি- যাঁদের গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাঁদের একেবারেই দই খাওয়া উচিত নয়। দই খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে।
ত্বকের সমস্যা- যাঁদের ত্বকের সমস্যা আছে তাঁদের একেবারেই দই খাওয়া উচিত নয়। একজিমা, চুলকানি, ইনফেকশন এবং ব্রণের সমস্যা থাকলে ভুল করেও দই খাবেন না।
মহিলাদের শ্বেত স্রাব- মহিলাদের শ্বেত স্রাবের সমস্যা থাকলে দই এড়িয়ে চলুন। মহিলাদের নানা রোগের ক্ষেত্রেও দই না খাওয়াই শ্রেয়।
আরও পড়ুন- এসব তো আর খান না! জানেন ওষুধ ছাড়াই সুগার কমিয়ে দেয় এই শাক