Darjeeling Toy Train Record Earning: দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়া মানেই, কয়েকটি বিষয় কমন থাকবেই। তা হল টাইগার হিল দর্শন আর টয়ট্রেনে চড়া। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়া যায়। তবে সময় খুব বেশি লাগে বলে অনেকেই কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং বা দার্জিলিং থেকে কার্শিয়াং জয়রাইডকে বেশি পছন্দ করেন। তাতে টয়ট্রেনে চড়াও হয়, আবার টয়ট্রেনে চড়ার জন্য আলাদা সময় বরাদ্দও করতে হয় না। এর চাহিদা এমনিতেই তুঙ্গে থাকে। তবে আয়ের নিরিখে মে মাসে সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে টয়ট্রেন। আর সেই টয়ট্রেন থেকেই এবার রেকর্ড আয় করল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway)।
আরও পড়ুনঃ কালিম্পং-সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে ধসে গেল বাড়ি-রাস্তা বন্ধ, আতঙ্ক
আরও পড়ুনঃ স্বাদে দুর্দান্ত, ১ টির দাম কোটি টাকার বেশি, বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাছ এটাই
কত আয় করল কুঝিকঝিক টয়ট্রেন?
হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, এই বছরের মে মাসে ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন, গত মাসে, ৩০ হাজার ৩০৩ জন যাত্রী টয় ট্রেনে উঠেছিলেন। যা DHR চালু হওয়ার পর থেকে এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই সময়ে মাসে ৩.৫৭ কোটি টাকা উপার্জন হয়েছে।' সূত্রের খবর, এর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল গত বছরের মে মাসে যখন ২৬,৯০৯ জন যাত্রী টয় ট্রেনে চড়েছিলেন। তখন, আয় ছিল ৩,১৯ কোটি টাকা।
গত বছর থেকেই পাহাড়ে রাতের টয়ট্রেনও চালু করা হয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। দার্জিলিং স্টেশন থেকে ঘুম পর্যন্ত যাতায়াত করছে ট্রেনটি। ১২ নভেম্বর পাহাড়ে শুরু হয়েছিল ঘুম উৎসব। ১২ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালানো হয়েছিল টয় ট্রেন। ভাড়াও সাধারণ জয় রাইডের মতো। মাঝেমধ্যেই টয় ট্রেন লাইনে বিপত্তি ঘটে। ফলে রাতের অন্ধকারে টয় ট্রেন চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করছে অনেকে।
জনপ্রিয়তা বাড়াতে লাগাতার প্রচার
ডিএইচআর-এ বর্তমানে নিউ জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিঙের মধ্যে দৈনিক ট্রেন পরিষেবার পাশাপাশি দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয়রাইড পরিষেবা চলছে। এছাড়াও ডিএইচআর-এর পক্ষ থেকে স্টিম জাঙ্গল টি সাফারি, রেড পান্ডা, হিম কন্যা ইত্যাদির মতো বিশেষ পরিষেবা চালু করা হয়েছে। চার্টার ট্রেন, স্পেশাল ফিল্ম শুটিং ট্রেন, হেরিটেজ ডাইনিং কারের মতো কিছু আকর্ষণীয় পরিষেবাও ডিএইচআর দিয়ে থাকে। ডিএইচআর-এ অধিক পর্যটক আকর্ষিত করতে দার্জিলিঙে একটি নতুন কোচ রেস্টুরেন্ট এবং কার্শিয়াঙে একটি ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে।
দেশ ও বিদেশে ডিএইচআর-এর প্রচারের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটনের উন্নয়নের জন্য নতুন কোচ ও নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে। দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপ উইন্ডো, কাঞ্চনজংঘা ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদি নতুন বৈশিষ্ট্যের দ্বারা আপগ্রেড করা হয়েছে। ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডও প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে।