Dates Amazing Benefits: খেজুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আয়রন, খনিজ, ক্যালসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিনের মতো একাধিক পুষ্টিগুণ থাকার ফলে, এই ফল শরীর সুস্থ রাখতে জাদুকরী কাজ করে। প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন অন্তত ২-৩ টি খেজুর। তাহলেই সুস্থ থাকবে আপনার শরীর। আসুন জানা যাক, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা কী কী।
* ক্যান্সার-হৃদরোগ প্রতিরোধে
খেজুর গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজের ভান্ডার, যা ডায়াবেটিসে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। এটিতে কোলেস্টেরল নেই এবং ১ টি খেজুরে ২৩ ক্যালোরি থাকে। এর পাশাপাশি এটি কোষের ক্ষতি, ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর।
* হাড় মজবুত করে
ক্রমবর্ধমান বয়সের সঙ্গে, হাড়কে শক্তিশালী করে এমন কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। এক্ষেত্রে, হাড় মজবুত করতে খেজুর খুবই উপকারী। খেজুরে ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা হাড়কে মজবুত করে।
* ত্বক সুন্দর করুন
খেজুর ত্বক কোমল করে তোলে এবং এই সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। খেজুরে বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এটি খেলে বার্ধক্য দেরিতে আসে।
* হাঁপানিতে উপশম
হাঁপানি একটি অত্যন্ত মারাত্মক রোগ। হাঁপানি রোগীরা প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ২ থেকে ৩টি খেজুর খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন।
* হজমশক্তির উন্নতিতে কার্যকরী
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়। এটি খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এর সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যাও দূর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি করে
খেজুরে পটাশিয়াম এবং অল্প পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। এই দুটিই শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে। এছাড়া পটাশিয়াম কোলেস্টেরল কমায়। নিয়মিত খেজুর খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
খেজুরে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে বাধা দেয়। প্রতিদিন ৫-৬টি খেজুর খেলে তা রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী।
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
খেজুরে ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ দূর করে। এর জন্য কিছু খেজুর সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে ওই খেজুর পিষে নেড়ে খালি পেটে খান। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দ্রুত দূর হবে।
* শরীর গরম রাখে
খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং ম্যাগনেসিয়াম। শরীরে তাপ তৈরির পাশাপাশি শক্তিও জোগায় এই ফল।