প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতে ধনতেরাস উৎসব উদযাপিত হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময় ধন্বন্তরী অমৃতপাত্র নিয়ে আবির্ভূত হন। এই দিনে জিনিসপত্র কেনা শুভ। সারা বছর ধন-সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ধনতেরাসের দিন তামার পাত্র কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এ বছর কার্তিক কৃষ্ণ ত্রয়োদশী ধনতেরাস ১০ নভেম্বর। এই দিনে সোনা বা রুপোর জিনিস কেনা শুভ। লক্ষ্মী-গণেশ খোদাই করা সোনা ও রুপোর মুদ্রা কেনেন অনেকে। ধনতেরাসে শুধু সোনা-রুপো কেনার টাকা অনেকের কাছেই নেই। তাঁরা কীভাবে ভাগ্যের কৃপা পাবেন? সোনা-রুপো ছাড়াও ধনতেরাসে সস্তার ৫ জিনিস কিনলে বাড়িতে আসে সমৃদ্ধি।
এই বছর ত্রয়োদশী তিথি ১০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে শুরু হবে। ১১ নভেম্বর রাত ১টা ৫৭ মিনিটে শেষ হবে৷ ধনতেরাস পুজোর শুভ সময় ৫টা ৪৬ মিনিট থেকে ৭টা ৪২ মিনিটে। সময়কাল ১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট। ধনতেরাসের দিন সোনা-রুপো ছাড়া সস্তায় কী কিনবেন?
ঝাঁটা- সনাতন ধর্ম অনুযায়ী মা লক্ষ্মীর রূপ ঝাঁটা। ঝাঁটা দিয়ে ঘর পরিষ্কার রপা হয়। আর পরিচ্ছন্নতা ভালবাসেন মা লক্ষ্মী। পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকতে চান। আর ঝাঁটা জায়গাকে পরিষ্কার রাখে। সে কারণে ধনতেরাসে ঝাঁটা কিনলে মেলে লক্ষ্মীর আশিস। শাস্ত্রও বলছে, ঝাঁটা কিনতে। ঝাঁটায় কখন পা দেবেন না। আর ঝাঁটা লোকচক্ষুর আড়ালে রাখাই শ্রেয়।
কড়ি- এক কালে কড়ির মাধ্যমে লেনদেন হত। এই কড়ি কাজে লাগে লক্ষ্মীপুজোয়। মা লক্ষ্মীর পছন্দের বস্তু কড়ি। ঘরে কড়ি আনলে প্রসন্ন হন লক্ষ্মী। ধনতেরাসে বাড়ি কড়ি কিনে আনুন। লক্ষ্মীর কাছ রেখে কড়ির পুজো করুন। তার পর তা রেখে দিন টাকা রাখার জায়গায়। আপনার কখনও অর্থের অভাব হবে না। সবসময় থাকবে ভাগ্যের সঙ্গ।
ধনে- ধনতেরাসে ধনে কেনাও খুব শুভ। গোটা ধনে কিনে দেবী লক্ষ্মীকে অর্পণ করুন। ধনে মা লক্ষ্মীকে দেওয়ার পর তা বাড়ির টবে বা মাটিতে পুঁতে দিন। ধনে ধনতেরাসে কিনলে কখনও টাকা পয়সার অভাব হয় না।
পিতলের বাসন- ধনতেরাসে সোনারুপোর বদলে কিনতে পারেন পিতলের বাসন। ঘরে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি। সমুদ্র মন্থনের সময় ধন্বন্তরী দেব অমৃতপাত্র নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এই অমৃতপাত্র ছিল পিতলের। সেজন্য ধনতেরাসে পিতলের বাসন কেনা অত্যন্ত শুভ।