Diabetes, Cholesterol Control Tips: ঔষধি গুণে ভরপুর মধু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মধু খেলে অনেক রোগ সেরে যায়। মধুতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরলের মতো মারাত্মক রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে প্রোটিন, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হার্ট এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি দূর করে। আসুন জেনে নেই কিভাবে মধু খাওয়া উচিত।
টরন্টো ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মধু কার্ডিওমেটাবলিক স্বাস্থ্যে উপকারী। গবেষণা অনুযায়ী, মধু রোজা রাখলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে:
মধু খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। মধু মিষ্টি হওয়া ডায়াবেটিসে কীভাবে উপকারী হতে পারে তা নিয়ে সবাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। আসলে মধুতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এটি মিষ্টির লোভও প্রশমিত করে, এভাবে মধু খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে:
মধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলেস্টেরল কমায়। কোলেস্টেরল বাড়ার ভয় থাকলে এক চামচ মধুর সঙ্গে কাঁচা রসুন খেলে খুব উপকার পাওয়া যাবে। এই দুটিই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।
কীভাবে সেবন করবেন?
প্রতিদিন এক চা চামচ (৩৫-৪০) গ্রাম মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়। চায়ে চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করলে খুব উপকার হবে। আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ক্বাথের মধ্যে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
এগুলিও সেবনের সুবিধা:
ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল ছাড়াও আরও অনেক রোগ নিরাময়ে মধু উপকারী। মধু হজম, সর্দি, গলার সমস্যা, স্থূলতার মতো সমস্যা দূর করতে কাজ করে। মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি চুল ও ত্বকের জন্যও উপকারী।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে তথ্যগুলি ঘরোয়া প্রতিকার এবং প্রচলিত ঘরোয়া টোটকার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদনে উল্লেয়কিত পদ্ধতি প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।