বর্তমানে আমাদের যা জীবন যাপন, তাতে ঘরে ঘরে সুগারের রোগী। আর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে আনার কথা যখনই আমরা ভাবি, তখনই কী খাওয়া-দাওয়া করছি এগুলো গুরুত্ব পায়। আপনি কতবার খাচ্ছেন, সেটা সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের মনে সর্বদাই এই চিন্তা থাকে যে দিনে একাধিকবার খাবেন নাকি একবার ভরপেট খাবেন? কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে যদি নিজের খাবারকে দিনভর ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নেন, তাহলে সুগারের মাত্রা বেশি ভাল নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার কিছু বিশেষজ্ঞের মনে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা টাইম-রেস্ট্রিক্টেড ইটিং ভাল সুগার রোগীদের জন্য। এতে ব্যক্তিকে দিনে কিছু ঘণ্টার মধ্যে খাবার খেতে হয় আর বাকি সময় উপোস।
ডায়াবেটিসে কোনটা সঠিক পদ্ধতি
ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সুগারের রোগীর জন্য দিনে একটু একটু করে বারে বারে খাবার খাওয়া ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। দিনভর শরীরে এনার্জিও থাকে। তবে সব ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই নিয়ম নয়। কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে কিছু রোগীর গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণের জন্য দিনে শুধু দুবার ভরপেট খেলেই হবে। কিছু ক্ষেত্রে এটা দারুণ বেশি প্রভাব দেয়।
সেরা খাওয়ার পদ্ধতি
তবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের সেরা উপায় হল ধারাবাহিকতা। অর্থাৎ, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া। বিশেষ করে সকালের ব্রেকফাস্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে খাওয়ার সঠিক সময় আপনার স্বাস্থ্য এবং জীবনধারা অনুসারে নির্ধারণ করা উচিত। কোনও একটি পদ্ধতিই সবার জন্য উপযুক্ত নয়, তাই আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার ডায়েট প্ল্যান তৈরি করুন।
ইনসুলিন বা ওষুধ যাঁরা খাচ্ছেন
যাঁরা ইনসুলিন নেন অথবা সুগারের ওষুধ খাচ্ছেন তাদের না খেয়ে থাকা একেবারে উচিত নয়। এঁদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকার ফলে হাইপোগ্লাসেমিয়া হতে পারে। আপনি যদি সকালে ব্রেকফাস্ট করেন এবং রাতে তাড়াতাড়ি খান, তাহলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা ও ফাস্টিং ব্লাড সুগার মাত্রা ভাল হতে পারে।