Jamun Seeds In Diabetes: জাম খাওয়ার উপকারিতা কে না জানেন। আয়ুর্বেদ ছাড়াও ইউনানি ও চাইনিজ চিকিৎসায় জাম খাওয়ার উপকারিতার কথা বলা হয়েছে। তবে আপনি এটা কি জানেন? জাম খাওয়ার পর আমরা যে বীজগুলি ফেলে দিই তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, জামের এই বীজ সহজেই রক্তে বেড়ে যাওয়া ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, জাম ও এর বীজে জাম্বুলিন ও জাম্বোসিন পাওয়া যায়, যা রক্ত থেকে নির্গত ব্লাড সুগারের গতি কমিয়ে দেয়। এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণও বাড়ায়। এটি নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস রোগের অগ্রগতি রোধ করা যায়।
আয়ুর্বেদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জামে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট এবং অ্যান্টি-ডাইউরেটিকের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও এতে হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত কমায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, জামের বীজে এসব বিশেষত্ব পাওয়া যায়।
জামের বীজ কীভাবে ব্যবহার করবেন?
জামের বীজ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। জাম খাওয়ার পর এর দানা ফেলে না দিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এগুলি ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার কাপড়ে শুকানোর জন্য রেখে দিন। এগুলো সূর্যের আলোতে ঠিকমতো শুকোতে অন্তত তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে।
শুকানোর পরে, তাদের উপরের স্তরটি যেমন খোসা ছাড়িয়ে নিন এবং সবুজ অংশটি ভিতরে রাখুন। এরপর এটিকে দু'টি ভাগে ভেঙ্গে আরও কয়েক দিন শুকোতে দিন যাতে বীজগুলি ঠিকভাবে শুকিয়ে যায়। এর পরে, এটি পিষে নিন। এর থেকে গুঁড়ো একটি বাক্সে রাখুন এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করুন।
কীভাবে সেবন করতে হয়?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জলে এক চা চামচ জামের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে এই পদ্ধতিটি মানার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।