দিন দিন বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে শুরুতেই যেটা করতে হয় তা হল ডায়েট। অনেক খাবার বাদ পড়ে খাদ্যতালিকা থেকে। এর মধ্যে অন্যতম মিষ্টি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মিষ্টি বিষের সমান। তা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। সুগার ধরলে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মিষ্টি খেলেই বেড়ে যাবে রক্তে শর্করার মাত্র। এর ফলে কিডনি ও হার্ট সংক্রান্ত অসুখের ঝুঁকি থাকে। কিন্তু মিষ্টি কি একদম খাবেন না? মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে কী করবেন? সেই পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডায়াবেটিস হলে শুরুতেই বাদ দিতে হয় পছন্দের খাবার। বিশেষ করে যাঁদের মিষ্টি খুব প্রিয় তাঁরা বেশি সমস্যায় পড়েন। ডায়াবেটিস হলে জীবন থেকে মিষ্টিকে বিদায় জানানোই নিয়ম। একদমই খাওয়া যায় না। পছন্দের রসগোল্লা, মিষ্টি দই বা নলেন গুড়ের জলভরা। কিন্তু মুখ মিষ্টি মিষ্টি করলে কী করবেন? সেক্ষেত্রে উপায় আছে। পুষ্টিবিদ আয়ুশি যাদব বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে বিকল্প খেতে পারেন।
১। আঙুর- মিষ্টি আঙুরের স্বাদ কার না ভালো লাগে! আপনি কি জানেন যে এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার। অক্সিডেটিভ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ আঙুর। এই ফল খেলে কোনও ক্ষতি হবে না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম।
২। দই- দুপুরের খাবারে দই রাখতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা। তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। কমে ওজন এবং কোলেস্টেরল।
৩। আপেল - আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে কে না জানে! প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে আর ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার নেই (An Apple A Day Keeps The Doctor Away)। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উত্তম ফল আপেল। এই ফলের গ্লাইসেমিক সূচক কম। তাই এটি গ্লুকোজের মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।
৪। নাশপাতি- ডায়াবেটিস রোগীরা নাশপাতি খেতে পারেন। নাশপাতি খেলে বাড়ে না সুগার। এতে রয়েছে ফাইবার। যা নিয়ন্ত্রণে রাখে সুগার।
৫। ডার্ক চকোলেট- খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেতে পারেন ডার্ক চকোলেট। সাধারণ চকোলেটের থেকে ডার্ক চকোলেটে চিনির পরিমাণ কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। ডার্ক চকোলেট ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগ থেকে রক্ষা করে। প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন- টবেই লাগান ২ আয়ুর্বেদিক গাছ, সকালে পাতা খেলে হু হু করে কমবে সুগার