
Digital Gaming Disorder: আপনিও কি অনলাইন ক্লাসের নামে বাচ্চাদের মোবাইল দেন, কিন্তু নজরদারি করেন না। কোথাও তো আপনার সন্তানরাও অনলাইনে শিক্ষার নামে গেমের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে না, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অনলাইন গেম শুধুমাত্র ছেলেদের উপর নয়, কিশোর বয়সের মেয়েদের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। খিটখিটে, রাগ ও বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি বেড়েই চলেছে তাদের প্রকৃতিতে। এই প্রতিবেদনে, আমরা আপনাকে জানাব যে গেমিং ডিসঅর্ডার কতটা বিপজ্জনক এবং এটি শিশু এবং তরুণদের কতটা প্রভাবিত করছে।
ডিজিটাল গেমিং ডিসঅর্ডার কি?
অনলাইন বা অফলাইনে গেম খেলার আসক্তিকে গেমিং ডিসঅর্ডার বলা হয়। গেম খেলার আসক্তির কারণে যখন আপনার বাকি কাজগুলি প্রভাবিত হতে শুরু করে, তখন বুঝুন আপনার একটি গেমিং ব্যাধি রয়েছে। গেমিং ডিজঅর্ডারে কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। WHO এই ব্যাধিটিকে ICD-11 উপশ্রেণীতে রেখেছে।
কত শতাংশ ভারতীয় এর শিকার?
ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ কমিউনিটি মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রায় ৩.৫ শতাংশ ভারতীয় কিশোর ডিজিটাল গেমিং ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। পিউ (আমেরিকান রিসার্চ সেন্টার) এর মতে, ৯৭ শতাংশ কিশোর ছেলে এবং ৮৩ শতাংশ মেয়ে কোনও না কোনও ডিভাইসে গেম খেলে। কোভিডের কারণে, সারা বিশ্বে প্রায় সবকিছুই অনলাইনে হয়েছে, যার ফলস্বরূপ লোকেরা স্ক্রিনের সংস্পর্শে আসছে। সামনে বসে থাকা এবং মোবাইল ব্যবহার করা একটি নেশায় পরিণত হয়েছে।
ইন্টারনেট গেমিং ডিসঅর্ডারের লক্ষণ
বাবা-মা আপনার সন্তানের বন্ধু হন। এ জন্য আপনার বাড়িতে পারিবারিক পরিবেশ থাকা খুবই জরুরি। আপনার সন্তানের সামনে, আপনার নিজের ফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা উচিত। আপনি যদি আপনার সন্তানকে অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য একটি ফোন দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদেরও পর্যবেক্ষণ করুন।
সতর্ক থাকা প্রয়োজন
অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের আউটডোর গেম খেলতে উৎসাহিত করা। এতে করে শিশুরা একে অপরের সাথে দেখা করবে এবং তাদের আচরণেও পরিবর্তন আসবে। যখনই আপনি আপনার সন্তানের রুটিন তৈরি করুন, তখনই বাইরে যান এবং খেলার জন্য সময় যোগ করুন। পিতামাতার তাদের সন্তানদের কর্মের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাহায্য নিন।