scorecardresearch
 

Morning Walk Alert: মর্নিং ওয়াকেও রোগের বিপদ রয়েছে, কীরকম?

Morning Walk Alert: মর্নিং ওয়াকে বিশ্বাস করেন? এতেও কিন্তু নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কয়েকটি তো মারাত্মক। বিপদ এড়াতে জেনে রাখুন..

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • মর্নিং ওয়াকে হতে পারে বিপদ!
  • সকালে হেঁটে রোগ ডেকে আনছেন না তো!
  • ফুসফুসে হতে পারে সংক্রমণ

শরীর সুস্থ রাখতে আমরা সবসময়ই মর্নিং ওয়াক এর কথা বলি। ডায়াবেটিস রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয় আপনারা মর্নিংওয়াক, জগিং করুন। কারণ সকালের তাজা হওয়ায় মর্নিং ওয়াক খুব ভালো হওয়ার কথা। এই কারণে বড় সংখ্যায় মানুষ সকালবেলায় সূর্যের আলো ফোটার আগেই বেরিয়ে পড়েন। কেউ কেউ আলো ফুটতেই নেমে পড়েন প্রাতঃভ্রমণে। এমন নয় যে শুধুমাত্র একটা বয়সের পর এই লোকেরা প্রাতঃভ্রমণে যান, ছোট থেকে বড় সকলেই প্রাতঃভ্রমণকে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি জানেন যে, ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ বদলে যায়। আর তার ফলে বায়ু দূষণের কারণে আপনি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

বাতাসে বিষ

দেশের রাজধানী দিল্লিতে প্রতি বছর দিওয়ালির পরে একটা বড় বায়ুদূষণ তৈরি হয়। দেশের বেশ কিছু অংশে এইভাবে দূষণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে সকালে যদি আপনি হাঁটতে বের হন, তাহলে তাজা হওয়ার পরিবর্তে দূষিত হওয়া আপনার ফুসফুসে ক্রমাগত ঢুকে আপনাকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে। যদি আপনি মর্নিংওয়াকে যান, তাহলে একটু মাথায় রাখুন, যে এই সময়ে মর্নিং ওয়াকের চেয়ে ঘরে থাকাই বেশি ভালো।

আসুন আমরা জেনে নেই সকালে হাঁটার কি কি ক্ষতি যা আপনাদের সাবধানে চলতে হবে

১. সকালের হাওয়া

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লি এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে, স্মগ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল। যাতে গোটা শহরই নয়, আসপাশের বহু বর্গকিলোমটার এলাকা জুড়ে ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। এই ধোয়া দিওয়ালির পরে বাতাস দূষিত করে ফেলেছিল।দিল্লির মতো এতটা তীব্র না হলেও, দেশের বিভিন্ন এলাকাই এখন দূষণের কবলে রয়েছে বলে রিপোর্ট। এই দূষিত বাতাস আমাদের ফুসফুসকে ঝাঁঝরা করে দিতে সক্ষম। এই সঙ্গে নাক এবং গলায় এলার্জির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

২.বাড়ছে দূষণের মাত্রা

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে শুধুমাত্র দিল্লি, নয়াদিল্লি ছাড়াও আরও বেশ কিছু এলাকা দেশের দূষণের মাত্রা বাড়ছে। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন কলকারখানার ধোঁয়া বাতাসকে ক্রমাগত দূষিত করে চলেছে। সেখানে সকালের খোলা হাওয়া এই দূষণ কমাতে তো পারেই না বরং জমে থাকে। এই দূষণের মাত্রা মানুষের চুলের চেয়ে ৩০ গুণ বেশি। বিশেষ করে নভেম্বরের পর থেকে বাতাসে ভারী ভাব ভূমন্ডলের উপরিভাগে জমে থাকে। ফলে সাবধানে মর্নিং ওয়াক করা উচিত।

তাহলে কি করবেন ?

মর্নিং ওয়াক বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। তার চাইতে ঘরে ওয়র্কআউট করা অনেক বেশি ভাল। আপনি যদি বাড়িতে ট্রেডমিলে দৌড়তে পারেন ভাল, নইলে স্কিপিং বা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। জিমে যেতে পারেন। যোগা করতে পারেন। এই সমস্ত জিনিস আপনি ঘরে বসে নিজের শরীরকে ফিট রাখার জন্য করতে পারেন। তার ফায়দা একই। বরং যে শরীরচর্চা করে উপকার আপনারা পাচ্ছেন, সেই একই উপকার বাইরে করলে বিপদে পড়তে হতে পারে।

 

Advertisement