আমাদের শরীরে ভিতের মতো কাজ করে হাড়, যার ওপর গোটা শরীরটা টিকে রয়েছে। হাড় মজবুত থাকলে পুরো শরীরটাই মজবুত থাকবে। হাড়কে ভাল রাখতে হলে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে, যে খাবারে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এছাড়াও প্রোটিন, ভিটামিন ও অনেক ধরনের খনিজও দরকার আমাদের হাড়কে মজবুত রাখার জন্য। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তাই এখন থেকেই যদি কিছু খাবার নিজেদের ডায়েটে সামিল করতে পারেন তাহলে আমাদের হাড় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়াম ও প্রোটিন পাবে। এই খাবারগুলো হাড়কে লোকসানের হাত থেকে বাঁচাবে এবং বাতের ব্যথার ঝুঁকি কম হবে।
সবুজ শাক-সবজি
ব্রকলি, কেল, পালং শাক, কলার্ড গ্রিনস এবং মেথির মতো সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন কে এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ভিটামিন কে হাড়ের স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবুজ শাকসবজি শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সরবরাহ করে, যা আপনার হাড়কে শক্তি জোগায়।
ড্রাই ফ্রুটস
আখরোট, বাদাম, কাজু, পেস্তা সহ প্রায় সব শুকনো ফল ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনে সমৃদ্ধ। প্রতিদিন শুকনো ফল ও বীজ খেলে তা হাড়রে ঘনত্ব উন্নত করে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের বীজ
শুকনো ফলের মতো, চিয়া বীজ, তরমুজ, তরমুজ, তরমুজ এবং সূর্যমুখী বীজের মতো বীজও ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ সমৃদ্ধ যা হাড়ের শক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন এগুলি খাওয়া আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সকালের ব্রেকফাস্টে যদি বীজ খান তাহলে আপনার হাড় ও শরীরের অনেক উপকার হবে।
মাছ
স্যামন, টুনা এবং সার্ডিন জাতীয় চর্বিযুক্ত মাছ ভিটামিন ডি এর একটি ভাল উৎস যা শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শক্তিশালী হাড় তৈরিতেও সহায়ক। চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খাওয়া অস্টিওপরোসিস এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, পনির এবং দইকে ক্যালসিয়ামের সেরা উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপস্থিত খনিজ উপাদানগুলো শক্তিশালী হাড় গঠন ও সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দুগ্ধজাত দ্রব্য সেবন করলে ফ্র্যাকচার এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমে যায়।