Lemon Eating Alert: লেবুকে ভিটামিন-সিএর খনি। লেবু স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। লেবু শুধু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেই সাহায্য করে না বরং শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও কাজ করে। গ্রীষ্মের মরশুমে লেবু বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মকালে লেবুজল পান করা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ, গ্রীষ্মের মরশুমে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে শুরু করে, যার কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা যেমন ডিহাইড্রেশন, মাথা ঘোরা-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে বা বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় লেবু জল পান এবং অন্যান্য উপায়ে লেবু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে এবং শরীরে জলের মাত্রাও বজায় থাকে। কিন্তু আমরা হামেশাই লেবু বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করি। এই স্বাদ বাড়াতে গিয়ে আমরা কয়েকটা বিপদ ঘটিয়ে ফেলি অজান্তেই।
লেবুর সঙ্গে এই জিনিসগুলি খাবেন না
১.টমেটো (Tomato)
আমরা ভেলপুরি, চাট, স্যালাডের সঙ্গে লেবুর রস মাখিয়ে স্বাদ করে খাই। আর এখানেই বিপদ ঘটিয়ে ফেলি। এই খাবারগুলিতে থাকা টমেটো আর লেবু মারাত্মক কম্বিনেশন। এছাড়াও টমেটোর চাটনিতে কেউ কেউ লেবু দেয়। বা চাটনি খাবার পরই লেবু চিপে খায়। এই দুটি খাবার একসঙ্গে বা পরপর খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। লেবু-টমেটো একসঙ্গে খেলে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ভারী হওয়া এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে।
২. দই (Curd)
লেবুর সঙ্গে দই খাওয়া নিষিদ্ধ। কারণ এর দুটিই একে অপরের বিপরীত বলে বিবেচিত হয়। আসলে, দইয়ের সঙ্গে যে কোনও সাইট্রাস ফল খেলে শরীরে ক্ষতিকারক টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা চুলকানি, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। চাট বা আলুকাবলি জাতীয় খাবারে অনেকে টক দই ও লেবু দুই দেয়। এটা শরীরকে বিগড়ে দিতে পারে। আবার ভোজ খাওয়ার শেষে দই খেয়ে আবার লেবু খায়। এটা খুব খারাপ।
৩ পেঁপে (Papaya)
পেঁপে এমন একটি ফল যা কখনই লেবুর সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। বলা হয়ে থাকে লেবু ও পেঁপের প্রভাব ও পুষ্টিগুণ আলাদা। সেজন্য লেবু ও পেঁপে একসঙ্গে খাওয়া হলে তা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে। এর পাশাপাশি পেঁপে ও লেবু একসঙ্গে খেলে শরীরে দুর্বলতা তৈরি হয় এবং রক্তস্বল্পতা রোগ বাড়ে।
৪. দুগ্ধজাত খাবার (Milk Product)
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়া উচিত নয়। ব্যাপারটা হল লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড নামক অ্যাসিডিক পদার্থ থাকে। এটি দুধের সঙ্গে একত্রে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে, যার কারণে হজম সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন বদহজম এবং অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে।